আগামীকাল মহাদেবের রুদ্রাভিষেকের মাধ্যমে অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
দেশে করোনা সংক্রমন হু হু করে বেড়েই চলেছে। কিন্তু তার মধ্যেই বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে রামমন্দির নির্মাণের কাজ। কালই মন্দিরের ভিতের জন্য প্রথম ইঁট পাতা হবে।
মন্দির ট্রাস্ট প্রধানের মুখপাত্র জানিয়েছেন, রামের জন্মস্থান অযোধ্যতে আগামীকালই এই অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। রাম জন্মভূমিতে অবস্থিত কুবের টিলা মন্দিরে শিবমূর্তিতে পুজো করে এই কাজের শুভারম্ভ হবে।
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধান মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস জানান, রামায়ণে কথিত আছে রাবনের বিরুদ্ধে লঙ্কায় আক্রমণ করার আগে শ্রীরামচন্দ্র রুদ্রাভিষেক রীতির মাধ্যমে শিবের পুজো করেছিলেন। সেই রীতির কথা স্মরণ করেই শিবের পুজোর মাধ্যমে মন্দিরে প্রথম নির্মাণের ভিত গাঁথা হবে। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ এই বিশেষ প্রার্থনা শুরু করা হবে। পুজোর দায়িত্বে থাকবেন কমলনয়ন দাস সহ অন্যান্য পুরোহিতরা।
কমল নয়ন জানান, প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলবে এই পুজোর রীতি। তার পর, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে রাম মন্দিরের তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আমাদের দেশে হিন্দু-মুসলিম দলাদলি একটি অত্যন্ত প্রচলিত বিষয়। এখন যে জমিতে রামমন্দির তৈরি হতে চলেছে সেই মন্দিরের স্থানে ষোড়শ শতাব্দীতে তৈরি বাবরি মসজিদ দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু ১৯৯২ সালে ওই মসজিদকে ধ্বংস করে সেবকরা। তাঁদের দাবি ছিল, এই জমিতে আগে থেকে রাম মন্দির ছিল। পরে তা ভেঙে মোঘলরা বাবরি মসজিদ তৈরি করে।
এরপর দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গত বছরের নভেম্বরে ঐতিহাসিক রায় দেন শীর্ষ আদালত। রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট সেখানে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেন। এরপর এই বছরের মার্চ মাসে রামলাল্লা বিগ্রহকে অস্থায়ী মন্দিরস্থল থেকে নতুন জায়গায় নিয়ে আসা হয়। কারণ, এই অস্থায়ী জায়গায় নির্মাণ হবে পূর্ণাঙ্গ মন্দিরের। পাশাপাশি, মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় একটি বিকল্প ৫ একর জমির বন্দোবস্ত করার নির্দেশও দেয় শীর্ষ আদালত।