আজ জনতা কার্ফুতে বিকেল ৫টায় করতালির আগাম রিহার্সাল সমগ্র ভারত জুড়ে
করোনা সংক্রমণের চেনকে ভেঙে দিতে আজ দেশজুড়ে জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে আর্জি জানিয়ে অনুরোধ করেন এই মুহূর্তে প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বাইরে না বেরতে। রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা অবধি কেউ যেন বাড়ি থেকে না বেরোন। তারসাথে করোনার মোকালবিলার জন্য নিরলস পরিশ্রম করছেন যারা সেইসব জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অর্থাৎ ডাক্তার, নার্স, সাফাইকর্মী, পুলিশ, সংবাদমাধ্যম (মোদীর ভাষায় রাষ্ট্ররক্ষক) সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে বিকেল ৫টার সময় গোটা দেশ যেন মাত্র ৫ মিনিট করতালি দেন।
মোদীর এই অনুরোধে দেশ সাড়া দিয়েছে। তাই সারাদেশ এখন উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত, সবাই নিজেদের বাড়িতে করতালির আগাম প্রস্তুতি নিয়েছেন।
শনিবার বিকেলে সেই ছবিটাই ধরা পড়ল। নয়ডা থেকে বেঙ্গালুরু, উঁচু উঁচু আবাসনের বাসিন্দারা জড়ো হয়েছেন ব্যালকনিতে। তারপর শুরু হল হাততালি। ক্রমে এই সংখ্যাটা বাড়তে থাকল। শুধু হাততালি নয় সঙ্গে বাজানো হল থালা। সেইসময় সেইসব আবাসনের নীচে নিজেদের কাজে ব্যস্ত সাফাইকর্মী থেকে জরুরি পরিষেবার কাজে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি। তাঁদেরকেই যেন ধন্যবাদ জানালেন জনতা।
হাততালি দেওয়া বা থালা বাজানোর পাশাপাশি সবার মুখে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানও শোনা গেল। এটা যদি ট্রেলর হয় তাহলে রবিবার বিকেল ৫টায় হয়তো এই দৃশ্য আরও ভালভাবে চোখে পড়বে।
রবিবার সকাল থেকেই দেশজুড়ে সব জায়গায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে এই জনতা কার্ফু পালন করা হচ্ছে। রাস্তাঘাটে লোকজনের ভিড় নেই , দোকান-পাঠও প্রায় বন্ধ। শনিবার মধ্যরাত থেকেই থেমে গেছে মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকা। ভারত প্রায় নিজেকে স্তব্ধ করে ফেলেছে। এই করোনা ভাইরাসের চেন নষ্ট করার চেষ্টায় ভারতবাসী।
ইতিমধ্যেই সংক্রমন রুখতে বেশ কিছু রাজ্য ও শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা দেশ সেই পথেই এগোচ্ছে। শনিবার রাতে টুইট করে খানিকটা সে দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শহরের সব বড় বড় মল, থিয়েটার, প্রেক্ষাগৃহ, পাব, পুল, মিউজিয়ামের বাইরে তালা পড়ছে। রবিবারের আগাম প্রস্তুতি দেখে এই মারণ ভাইরাসকে মুছে দিতে প্রস্তুত দেশের জনগণ।