India

ভাঙবে তবু মচকাবে না। ৮ পুলিশ কর্মী খুনে গ্রেফতার কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে। তবুও মুখে ‘ম্যায় বিকাশ হুঁ, কানপুরওয়ালা’…..

বিজ্ঞাপন

৮ পুলিশ কর্মী খুনের ৮ দিনের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার উত্তরপ্রদেশের ত্রাস কানপুরের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দিরের সামনে থেকে গ্রেফতার হয়েছে কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার। ২রা জুলাই কানপুরের বিক্রু গ্রামে তাকে গ্রেফতার করতে যাওয়া পুলিশের উপর অতর্কিতে গুলি চালিয়েছিল বিকাশ দুবের গ‍্যাং।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কানপুর ও তার আশেপাশে খুন, অপহরণ ও তোলাবাজির প্রায় ৬০টা মামলা রয়েছে বিকাশের নামে। কুখ্যাত এই দুষ্কৃতীকে ধরতে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিকাশের গ্রামের বাড়িতে হানা দেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ৫০ কর্মী। নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র কুমার মিশ্র। কিন্তু আগে থেকেই এই পুলিশকর্মীদের আসার খবর পেয়ে গিয়েছিল বিকাশ ও তার দল। তাই পুলিশ এলাকায় পৌঁছতেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। এই গুলিকে আট পুলিশকর্মী শহিদ হন। গুরুতর আহত হন আরও সাত কর্মী। মারা যান ডিএসপি দেবেন্দ্রও।

এই ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বিকাশ ও তার সঙ্গীরা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে এসটিএফের একটি দল তৈরি করে তল্লাশি শুরু হয়। এই দলে ৪০টি থানার পুলিশকর্মীদের রাখা হয়। বিকাশের মাথার দাম রাখা হয় ৫ লক্ষ টাকা। বিকাশের একের পর এক সঙ্গীকে এনকাউন্টারে মারা শুরু করে পুলিশ। অবশেষে পুলিশে জালে পাকড়াও হল বিকাশ নিজে।গত বৃহস্পতিবার থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে। তার পিছনে তখন বিশাল পুলিশবাহিনী। উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশে চলছিল তল্লাশি। একে একে খতম হচ্ছিল বিকাশের সঙ্গীরা। এই অবস্থায় পুজো দিতে যাওয়া কাল হল ওই গ্যাংস্টারের। পুজো দিতে গিয়েই পাকড়াও হল বিকাশ। যে দোকান থেকে পুজোর ডালি কিনেছিল বিকাশ, সেই দোকানদারের ফোনেই তৎপর হয় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশে চলছিল তল্লাশি। একে একে খতম হচ্ছিল বিকাশের সঙ্গীরা।

বিজ্ঞাপন

সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৮টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে মহাকাল মন্দিরে পুজো দিতে যায় বিকাশ। মন্দিরে লোক খুব বেশি ছিল না। একটা দোকান থেকে পুজোর ডালি কেনে সে। সেই দোকানকারই চিনতে পারেন এই খুনি দুষ্কৃতীকে। তিনিই তৎপর হয়ে খবর দেন পুলিশে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সঙ্গে সঙ্গে পুরো মন্দির ঘিরে ফেলে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের বিশাল বাহিনী। পুজো দিয়ে বেরনোর সময় মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীরা বিকাশকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে সে নকল আইডেন্টিটি কার্ড দেখিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বিকাশ। চারদিকে পুলিশ দেখে সহজেই আত্মসমর্পন করে সে।

মন্দিরের বাইরের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, সাদা কালো স্ট্রাইপড টি-শার্ট ও ট্রাউজার পরা বিকাশকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। মন্দিরের বাইরে টেনে নিয়ে গিয়ে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয় তাকে। তখনই বিকাশকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘ম্যায় বিকাশ হুঁ, কানপুরওয়ালা’। তার জবাবে পুলিশকে আরও কয়েকটা চড়-থাপ্পড় মারতে দেখা যায়।

বুধবার শেষবার এক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে বিকাশ দুবে-কে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম সীমান্তবর্তী এক এলাকায় দেখা গিয়েছিল। পুলিশ মনে করেছিল, সে নয়ডা, গৌতম বুদ্ধ নগরের মতো দিল্লির আশপাশের কোনও এলাকায় লুকিয়ে আছে। তাই ওইসব এলাকায় তল্লাশি বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তার সন্ধান মিলল মধ্যপ্রদেশ থেকে। কীভাবে সে পুলিশের নজর এড়িয়ে সীমান্ত পার করল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এখন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading