নতুন বছরের শুরুতেই সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে উত্তপ্ত অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনীতি। রাম মূর্তি ভাঙা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে একের পর এক তোপের মুখে ফেলছে বিরোধী পক্ষ। একের পর এক হিন্দু মন্দির ভাঙা পড়ছে অন্ধ্রপ্রদেশে। কিন্তু এই নিয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে অন্ধ্র সরকার।
অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কিছু হিন্দু মন্দিরের উপর হামলা চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। গত মাসে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া অঞ্চলের সীতারাম মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও, ভিজিয়ানাগ্রাম জেলার রামতীর্থম মন্দিরে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। ৪০০ বছর পুরনো প্রভু রামের মূর্তি ভেঙে ফেলে তারা। পরদিন সকালে মন্দিরের পুরোহিত এসে এই ভাঙা মূর্তি উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় সাড়া পড়ে যায় গোটা রাজ্য জুড়ে। এর জেরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে অন্ধ্রের রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির নেতৃত্বাধীন ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে দোষী ঠাওরেছে বিরোধী পক্ষ।
এই ঘটনার বেশ কিছুদিন গেলেও এই বিষয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে। আবার ওয়াইএসআর কংগ্রেস এই ঘটনার জন্য তেলেগু দেশম পার্টির দিকেই আঙুল তুলেছে। চলতি মাসেই ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির দর্শনে যান টিডিপি সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। এরপ্র থেকেই রাজ্য রাজনীতির পারদ আরও চড়েছে। নাইডুর মন্দির সফরের কথা শোনা মাত্রই একের পর এক তোপ দাগতে থাকেন ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতার।
জগন্মোহন রেড্ডিকেও হিন্দুদের বিশ্বাসঘাতক বলে তোপ দাগেন টিডিপি। একইসঙ্গে জগমোহনের সময় রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নাইডু। রেড্ডির আমলে ১২৭টি হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। হিন্দু ভাবাবেগে ক্রমশ আঘাত করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও অপরাধীকে সরকার কেন গ্রেফতার করতে পারেনি, এই নিয়েও সুর চড়িয়েছে নাইডু।
Related Posts