নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে তাঁর কিছু জনপ্রিয় মন্তব্য, যা পাল্টে দেবে জীবনের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি

নেতাজি! নামটাই যথেষ্ট এক বাঙালির গর্ববোধের জন্য। নেতাজি ঠিক যতটা বাঙালির, ঠিক ততটাই গোটা দেশের ও গোটা বিশ্বের। তিনিই শিখিয়েছিলেন কোনও লক্ষ্যে যদি পৌঁছতে হয়, তবে নিজের আশা আকাঙ্ক্ষাকে বিসর্জন দিয়ে প্রাণত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। এখনও বিশ্বের সামনে এক মহীরুহ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এই দেশনায়ক, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
আজ এই মহান দেশনায়কের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৯৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করে সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁর পিতার নাম জানকীনাথ বসু ও মাতা ছিলেন প্রভাবতী দেবী। সকল দেশবাসীর কাছে তিনি ‘নেতাজি’ নামেই পরিচিত।
তাঁর জন্মবার্ষিকীতে জেনে নেওয়া যাক তাঁর কিছু কথা, যা জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারে।
১) আমাদের দেশের সবথেকে বড় সমস্যা হল দরিদ্রতা, অশিক্ষা, রোগ। মানুষের মধে যেদিন সামাজিক চেতনার বোধ হবে, সেদিনই এই সকল সমস্যার সমাধান হবে।
২) স্বাধীনতা কেউ দেয় না, তা অর্জন করে নিতে হয়।
৩) নিজের প্রতি যদি কেউ সৎ হয়, তাহলে সে সারা বিশ্বের প্রতি অসৎ হতে পারবে না।
৪) ভারত আমাদের ডাকছে, রক্ত দিয়ে রক্তকে ডাকছে। আর সময় নেই, অস্ত্র তোলো। ঈশ্বর চাইলে শহিদের মৃত্যু বরণ করে নেব আমরা।
৫) শুধুমাত্র চিন্তার জন্য কারোর মৃত্যু হতে পারে কিন্তু সেই চিন্তা আজীবন অমৃত থাকে। একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে সেই চিন্তা ছড়িয়ে পড়ে।
৬) সর্বদা সত্যতার মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করতে হবে।
৭) জীবনে প্রগতির আশা কোনও ব্যক্তিকে যে কোনও প্রকার ভয় ও সন্দেহ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
৮) মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন প্রাণবন্ত।
৯) প্রকৃতির সঙ্গ না পেলে জীবনটাই বৃথা, ঠিক মরুলকে নির্বাসনের মতো।
১০) নরম মাটিতে জন্ম নিয়েছে বলেই বাঙালির এমন সরল প্রাণ।
তাঁর এই উক্তি উদ্বুদ্ধ করেছিল সেই সময়ের তরুণ প্রজন্মকে। শুধু সেই সময়ের কেন, তাঁর এমন বাণী আগামীতেও সকলকে উৎসাহিত করার রসদ জোগাবে, তা বলাই বাহুল্য।
তবে দেশনায়কের অন্তর্ধান রহস্য আমাদের কাছে আজও অধরা। শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল নেতাজির? যে দেশকে স্বাধীন করতে তাঁর এত আত্মত্যাগ, এত প্রচেষ্টা, সেই স্বাধীন দেশে কী কখনও পা রাখতে পেরেছিলেন তিনি? নাকি হয়ত ফিরেছিলেন কোনও ছদ্মবেশে? নাকি কোন এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাঁর?
আজও পর্যন্ত নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য বা তাঁর মৃত্যু রহস্য দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক হত্যা রহস্য হয়েই থেকে গিয়েছে। এর মীমাংসা হয়নি বা ভবিষ্যতে আদৌ কোনও মীমাংসা হবে কী না, তাও অনিশ্চিত। তবে নেতাজির মৃত্যু সম্পর্কে সঠিক কোনও ধারণা না মিললেও তিনি চির অমর। তিনি এখনও প্রবলভাবে বেঁচে রয়েছেন দেশবাসীর মনের মধ্যে, আর যুগ থেকে যুগান্তরেও তিনি এইভাবেই বাঙালি তথা গোটা দেশবাসীর কাছে এভাবেই অমর হয়ে থাকবেন।