আজব শিক্ষিকা! একলাইন রিডিং পড়তে হোঁচট খেলেন অজস্রবার! মাস গেলে ব্যাঙ্কে ঢোকে ৭০ হাজার! কেনও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন অযোগ্যরা?
তাঁরাই জীবনে চলার পথ দেখান। মেরুদণ্ড সোজা রেখে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কান্ডারী হতে সাহায্য করেন। একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই কচিকাঁচাদের ভবিষ্যৎ প্রস্ফূটিত হয়, জ্ঞানের বিকাশ ঘটে। সমৃদ্ধ হয় জানার ভান্ডার। সমাজে এরকম অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন যাঁরা শিক্ষকতার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন। তবে প্রদীপের নীচে অন্ধকারের মতোই শিক্ষকতার পেশাতেও কিছু অযোগ্য মানুষ থেকে যান। তবে তারা যে খুব সম্মানের সঙ্গে থাকেন তেমনটা নয়। তাঁদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডই তাঁদের অযোগ্যতার প্রমাণ দেয়।
সেই অযোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা দের ‘শিক্ষা’ দেওয়ার ভিডিও আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের হাতে হাতে। এই ঘটনা গুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে এখনো সমাজে কতটা ব্যাভিচারী। যেখানে যোগ্যদের স্থান নেই। পয়সার জোর বা অন্য কোনো প্রভাব খাটিয়ে অযোগ্যরাই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন! ঘটনাটি হল উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে। পাঠ্যসূচি কেমন চলছে তা তদারকি করার জন্য স্কুলে উপস্থিত হয়েছিলেন জেলাশাসক। তখন তিনি ক্লাসে গিয়ে ইংরাজি শিক্ষিকাকে একটি ইংরেজি বই থেকে একটি প্যাসেজ রিডিং পড়তে দেন। কিন্তু ওইটুকু রিডিং পড়তে গিয়েই ইংরেজি শিক্ষিকা বারবার হোঁচট খেতে থাকেন।
গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরেও কিভাবে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে পারছেন না ওই শিক্ষিকা, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ জেলাশাসকের। তিনি ওই অশিক্ষিত শিক্ষিকাকে সত্ত্বর স্কুল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। যেখানে শিক্ষিত মানুষ চাকরি না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছে, সেখানে একজন অযোগ্য, মূর্খ মানুষকে কিভাবে শিক্ষকতার ভার দেওয়া হল সেটা দেখে স্তম্ভিত সকলেই।