‘কিছুদিনের মধ্যেই ত্রিপুরার রাজনীতি অন্যদিকে মোড় নেবে’, হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণের

আর মাত্র দেড় মাস, এরপরই বদলাবে ত্রিপুরার রাজনৈতিক সমীকরণ। এমনই হুঁশিয়ারি শানালেন ক্ষিপ্ত বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ। শুধু তাই-ই নয়, তিনি বেশ স্পষ্ট করেই জানান যে তিনি আস্তিন থেকে নতুন তাস বের করতে চলেছেন।
এই নিয়ে সুদীপের অনুগামীদের বক্তব্য, এর জেরে বিপ্লব দেবের সরকার বেশ অস্বস্তির মধ্যে পড়বে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুদীপ জানান যে বদলে যাবে ত্রিপুরার রাজনৈতিক সমীকরণ এবং তা হবে আগামী দেড় মাসের মধ্যেই।
এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও, সুদীপের অনুগামীদের কথায় আগরতলার বিধায়ক সরকারের একাধিক দুর্নীতি ফাঁস করতে চলেছেন। আর এর মধ্যে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের দুর্নীতি থেকে শুরু করে তথ্যসংস্কৃতি দফতরের কোটি কোটি টাকা বেনিয়মের ঘটনা রয়েছে। আর এই দুটি দফতরই রয়েছে বিপ্লব দেবের হাতে।
১২ই জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীর দিন সুদীপ রায়বর্মণ জানান যে তিনি ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন না। এদিন বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুদীপের অনুগামীরা দক্ষিণ ত্রিপুরাক্র সাব্রুমে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন। কিন্তু তা বানচাল হয়ে যায়। সুদীপের অভিযোগ, বিজেপির লোকেরাই এই রক্তদান শিবিরের মতো মহান উদ্যোগ ভেস্তে দিয়েছে।
এরপরই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে বিধায়কের। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান যে তিনি বিজেপির টিকিটে আর ভোটে লড়বেন না। এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে শোনা যাচ্ছে তাঁকে বাকি বিজেপি আর টিকিট দেবে না? এর উত্তরে সুদীপ বলেন, “উল্টোটাই। আমি আর বিজেপির টিকিটে লড়ব না”।
তাঁর এই ঘোষণার পরই বিজেপির অন্দরে বেশ হইচই শুরু হয়েছে। সুদীপ বিজেপি ছেড়ে কোন দলে যাবেন, তা নিয়ে এখন জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠছে যে সুদীপ এমন কী করতে চলেছেন যার জন্য ত্রিপুরার রাজনৈতিক সমীকরণই বদলে যাবে?