এখন বেতন না দিতে পারলে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না কোম্পানির বিরুদ্ধে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

এবার লকডাউনে কর্মীদের বেতন না দিতে পারার সমস্যা থেকে সাময়িক নিষ্কৃতি পেল বেসরকারি সংস্থাগুলি। দেশের শীর্ষ আদালতের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, লকডাউনে যদি কোনও সংস্থা তার কর্মীদের বেতন দিতে না পারে, তবে তাদের বিরুদ্ধে এইমুহূর্তে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। পাশাপাশি, ২৯শে মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তারও আইনি ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ শে মার্চ লকডাউনের শুরুর দিকে কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, যেখানে লকডাউনের মধ্যে প্রতিটি সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কর্মীদের সম্পূর্ণ বেতন দেওয়ার।
আজকের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাই নিঃসন্দেহে বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে বেশ নিশ্চিন্তের একটা খবর। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যেসব সংস্থা তাদের কর্মীদের পুরো বেতন দিতে পারছে না, তাদের বিরুদ্ধে এখনই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সেইসব সংস্থার বিরুদ্ধে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত কোনও আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। যাতে কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের মধ্যে বেতনের বিষয়ে তারা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। সিন্ধান্ত শেষে লেবার কমিশনকে সেই রিপোর্টও ফাইল করতে হবে।
একইসঙ্গে এদিন শীর্ষ আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যেসব কর্মীরা বেতনের অসুবিধা সত্ত্বেও কাজ করতে ইচ্ছুক, তাঁদেরকে কাজ করতে দিতে হবে। অনেক সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ তারা এখনো ৫০ থেকে ৫৪ দিনের বেতন পায়নি। তা সত্ত্বেও এই মুহুর্তে সেই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে না আদালত। কেন্দ্রীয় সরকারের ২৯ মার্চের বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলির একটি অ্যাসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সেই মামলারই শুনানি হয় আজ এবং তাতে এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।