মহরমের তাজিয়া বার করা যাবে না, নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হয়ে যাবে, আশঙ্কা সুপ্রিম কোর্টের

বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার জন করে দেশে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে মহরম (Muharram) এর তাজিয়া (Tajiya) বার করা যাবে না, স্পষ্ট নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
শীর্ষ আদালত থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে অতিমারি পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে তাজিয়া (Tajiya) বের করার অনুমতি দেওয়া হলে বিশৃঙ্খলার (Chaos) সৃষ্টি হবে। তাই দেশজুড়ে তাজিয়া (Tajiya) বের করার অনুমতি দেওয়া যাবে না কিন্তু যদি কোন রাজ্য থেকে তাজিয়া (Tajiya) বের করা হয় তাহলে সেটা রাজ্য অনুমতি দিতে পারে।
মহরমে (Muharram) তাজিয়া (Tajiya) বের করার অনুমতি চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন এক ব্যক্তি৷ বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের শুনানিতে, শীর্ষ আদালতের রায় এই যে, এখন তাজিয়া (Tajiya) বের করলে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উপর সংক্রমণ ছড়ানোর দায় চাপানো হবে, তাঁদের টার্গেট করা হবে৷
প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের (S.S Bobde) বেঞ্চ শিয়া নেতা সৈয়দ কালবে জাওয়াদ (Syed Kalbe Zawad) কে বলেন, “মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য গোটা দেশকে আপনি অস্পষ্ট দিশা দেখাতে চাইছেন।” তখন আবেদনকারীর আইনজীবী পুরীর রথ যাত্রার উদাহরণ দিলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পুরীর বিষয়টি সম্পূর্ণ পৃথক৷ কারণ পুরীতে রথ একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যেই পরিক্রম করবে৷ নির্দিষ্ট জায়গা পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব৷ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করাও সম্ভব৷
কিন্তু যদি গোটা দেশজুড়ে তাজিয়া (Tajiya) বার করা হয় তাহলে বিশৃঙ্খলা অবশ্যম্ভাবী। এক্ষেত্রে সংক্রমণের হার ভীষণ বেড়ে যাবে যা কোনভাবেই আটকানো যাবেনা। আবেদনকারী আইনজীবী তখন বলেন যে, “তাহলে লখনৌতে তাজিয়া বের করার অনুমতি দেওয়া হোক। কারণ সেখানে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেশি৷”
তখন শীর্ষ আদালত থেকে স্পষ্ট জানানো হয় যে এ ব্যাপারে এলাহাবাদ আদালতের থেকে অনুমতি চাইতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে এই বিষয়ে কোন জেনারেল অর্ডার শীর্ষ আদালত দিতে পারবে না। তাহলে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলার হার যেরকম ভাবে বাড়বে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে করোনা সংক্রমণ।