India

পাবজির নেশায় দাদুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করল নাতি। সারা জীবনের সঞ্চয় হারালেন অবসরপ্রাপ্ত বিএসএনএল কর্মী।

বিজ্ঞাপন

টিকটকের (Tiktok) পর সম্প্রতি ভারতের বাজারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জনপ্রিয় গেমিং অ্যাপ পাবজি (PUBG) কে। কিন্তু ভারতের বিশাল বাজার ছাড়তে নারাজ পাবজি। চীনা ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে আগ্রহী তারা। টিকটকের মতোই পাবজি ব্যান হয়ে যাবার পর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয় দেশের যুব সম্প্রদায়। এই গেমিং অ্যাপটি তরুণ প্রজন্মের কাছে ছিল নেশার মতো।

বিজ্ঞাপন

শোনা যায়, ভারতে পাবজি নিষিদ্ধ হয়ে যাবার জন্য আত্মহত্যা করেন আইটি পড়ুয়া এক যুবক। আবার কোথাও মজার ছলে পাবজি অন্তষ্টি করেন কিছু যুবক। কিন্তু এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে এবার শুধুমাত্র পাবজি খেলার জন্য নিজের সারা জীবনের সঞ্চয় হারালেন রাজধানীর অবসরপ্রাপ্ত বিএসএনএল কর্মী (Ex BSNL Clerk)।

বিজ্ঞাপন

হঠাৎই ব্যাঙ্কের তরফ থেকে একটি মেসেজ পেয়ে তিনি হতচকিত হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। প্রথমটা কিছু বুঝতে না পারলেও পরে জানতে পারেন যে, বর্তমানে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র দুশো পঁচাত্তর টাকা। কিন্তু থাকার কথা প্রায় দুই লাখেরও বেশি টাকা। অর্থাৎ দুই লাখের বেশি টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান বিএসএনএল অবসরপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তি এরপর তিমারপুর (Timarpur) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর করা সেই অভিযোগ সাইবারক্রাইমে যাওয়ার পর জানা যায় যে, খোদ চুরি হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকেই। আর চোর স্বয়ং তাঁর ১৫ বছরের নাতি। দাদুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লক্ষ ৮ হাজার টাকা বেআইনিভাবে তুলে নিয়ে পাবজির জন্য খরচ করেছে।

বিজ্ঞাপন

এরপর সাইবার সেল তদন্ত চালিয়ে দেখে যে, ওই টাকার ট্রানস্ফার ওটিপি (OTP) সিকিওর। সেই ওটিপি গিয়েছে অভিযোগকারীর ফোন নাম্বারে। যদিও অভিযোগকারীর ফোনে মেলেনি কোন‌ও ওটিপি সংক্রান্ত মেসেজ। অর্থাৎ দাদুর অনুপস্থিতিতে তার ফোন নিয়ে ব্যাঙ্ক এ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার পর ওটিপি সহ ব্যাঙ্কের সমস্ত মেসেজ সে ডিলিট করে দেয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর জেরার মুখে পড়ে ওই অভিযুক্ত কিশোর জানিয়েছে যে, বেশ কয়েক মাস ধরেই পাবজি খেলছে। অদূর ভবিষ্যতে গেমটা কেনার ইচ্ছা ছিল তার। সেই কারণেই দাদুর ডেবিট কার্ড কাজে লাগায়।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading