কাঁসর-ঘন্টা বাজাতে তৈরি হল জমায়েত, গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো জন। মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের, কলকাতায় আক্রান্ত সাতজন। ধীরে ধীরে প্রকোপ বাড়াচ্ছে করোনা। অনেকেই মনে করছেন ভারত রোগের তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। যার অর্থ শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। এই অবস্থা রোধ করতে এক জায়গায় একাধিক লোকের জমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সেই পরামর্শ মেনে চলতে বলছে। কিন্তু রবিবার বিকালে যা ঘটল তাতে কি বিপদ আরও বাড়ল?
প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সারা দিয়ে বিকাল পাঁচটা থেকেই দেশবাসী পাড়ার মোড়ে, বাড়ির ছাদে কাঁসর-ঘন্টা নিয়ে জমায়েত করেছে। মিছিলও বেরিয়েছে। এই ঘটনাই উদ্বেগ বাড়ানোর যথেষ্ট কারণ। করোনার প্রকোপ রুখতে রবিবার ‘জনতা কার্ফু’র ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার সঙ্গে স্বাস্থ্য, সংবাদমাধ্যমের মতো জরুরি পরিষেবায় নিযুক্ত কর্মী, যাঁরা নিজেদের কথা না ভেবে অন্যদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন, হাততালি, থালা, কাঁসর, ঘণ্টা বাজিয়ে সন্ধ্যায় তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে সাধারণ মানুষকে আর্জি জানান তিনি। সকাল থেকে কার্ফুতে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মেলার পর বিকাল ৫টা বাজতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজের নিজের বাড়ির বারান্দা এবং ছাদে জড়ো হন অনেকে।
কেউ কাঁসর-ঘণ্টা, তো কেউ শাঁখ, কেউ আবার চামচ দিয়ে থালা বাজাতে শুরু করেন। কোথাও কোথাও আবার ‘গো করোনা’ স্লোগানও ওঠে। এখন প্রশ্ন উঠছে, করোনাকে জব্দ করতে যখন লক ডাউনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তখন এই জমায়েত নতুন করে বিপদ ডেকে আনবে না তো? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।