কংগ্রেসের সঙ্গে চীনা শাসকদলের মউ স্বাক্ষর, হতবাক সুপ্রিম কোর্ট!

বর্তমানে ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক একদম তলানিতে ঠেকেছে। প্রথম কারণ অবশ্যই করোনাভাইরাস ও দ্বিতীয় কারণ গালওয়ান উপত্যকায় নিরস্ত্র ভারতীয় সেনাকে নির্বিচারে হত্যা করা। যদিও ভারত সরকার ভালোভাবেই এর জবাব দিয়েছে। প্রথমত ভারতীয় সেনারা চীনা সেনাকে নিজেদের এক্তিয়ার তো বুঝিয়েই দিয়েছে সেই সঙ্গে একের পর এক চীনা অ্যাপ ব্যান করে কেন্দ্র বুঝিয়ে দিচ্ছে যে ভারতে চীনাদের ব্যবসা করা আর চলবেনা।
কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী এই নিয়ে অনেক বড় বড় মন্তব্য করেছেন টুইটারে। কিন্তু এবার বেশ বিড়ম্বনার মুখে পড়েছে ভারতের অন্যতম বিরোধী জাতীয় দল। ২০০৮ সালে তৎকালীন শাসক দল কংগ্রেসের সঙ্গে চীনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টির একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই নিয়ে সম্প্রতি প্রচুর জলঘোলা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টেও এই নিয়ে এনআইএ অথবা সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা হয়। আজ এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ মন্তব্য করেন, “একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চীনের শাসকদলের মউ স্বাক্ষর হয়েছে এরকমটা আগে শুনিনি।” স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্যে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস।
যদিও শীর্ষ আদালত বলেছে যে আবেদনকারীরা আগে হাইকোর্টে আবেদন করুন এই নিয়ে। প্রধান বিচারপতি বোবডের নেতৃত্বাধীন আবেদনকারীদের বলেন হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করতে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নেয় পিটিশনকারীরা।
আবেদনকারীরা জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই মামলা করেছিলেন। তাঁদের আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি বলেন যে কোনও খারাপ কারণে এই বোঝাপড়া হয়েছিল। সেটি জনসমক্ষে আসা উচিত বলে তিনি দাবি করেন।
ইতিমধ্যেই বিজেপি বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা টুইট করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত এই মউ-এর কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে। গান্ধী পরিবারকে জানাতে হবে স্থানীয় ব্যবসাকে প্রভাবিত করার জন্য রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে টাকা দেওয়ার পরিবর্তে কী ভারতীয় বাজার চীনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল?