‘ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে’, উন্নাও’তে ২ তরুনীর মৃত্যুতে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে কেস দায়ের হল বরখা দত্তের বিরুদ্ধে!
তিনদিন আগেই যোগীরাজ্যে নৃশংসতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা নিয়ে ছেয়ে গিয়েছিল ন্যাশনাল মিডিয়া। হাথরস কাণ্ডের পর উন্নাও! নিজেদের চাষের জমি থেকেই তিন দলিত মেয়েকে উদ্ধার করা হল। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের অশোহা পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত বাবুরহা গ্রামে। তাঁদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছিল, দুই কিশোরীকেই বিষ দেওয়া হয়েছিল। উন্নাওয়ের এসপি সুরেশরাও এ কুলকার্নি বলেছিলেন, ‘নিজেদের জমিতেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল মেয়েগুলি। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। উদ্ধার করার সময় তাঁদের মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিষ প্রয়োগের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। জিজ্ঞাসাবাদ করছি আমরা। নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে। সেই বুঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’
আর এই ঘটনাতেই ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে প্রখ্যাত সাংবাদিক বরখা দত্তের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। একইসঙ্গে একই অপরাধে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৮টি টুইটার হ্যান্ডেল।
এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে উল্লিখিত টুইটারের হ্যান্ডেলগুলিতে ওই মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়েছে এমন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রমাণ করেছে ধর্ষণ হয়নি। একই সঙ্গে এই হ্যান্ডেলগুলি ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে দেয় যে উন্নাও পুলিশ হাথরাস পুলিশের মতোই পরিবারের সম্মতি ছাড়াই দুই মৃত মেয়ের শেষকৃত্য করেছে l
Related Posts
আরও পড়ুন-দাবাং যোগী! উত্তরপ্রদেশে ফের এনকাউন্টারে নিহত পিটিয়ে পুলিশ হত্যায় অপরাধী
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করেছে পুলিশ।
বরখা দত্ত ছাড়াও, নীলিমা দত্ত, সুরজ বৌধ, বিজয় আম্বেদকার, অভয় কুমার জাদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনায় ফের উত্তাল যোগীরাজ্যের উন্নাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ঘটনায় স্থানীয়রাও দাবি করে জানিয়েছিলেন কী ভাবে নিজেদের জমিতে দলিত মেয়েদের উপর নির্যাতন চালানো হল তার জবাব দিতে হবে প্রশাসনকে। এটি প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে যুঝছে যে মেয়েটি, এখনও পর্যন্ত তাঁর বয়ান নেওয়াও সম্ভব হয়নি। তাই তাঁদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনও অস্পষ্ট।
যে দুই কিশোরী মারা গিয়েছেন, তাঁদের বয়স যথাক্রমে ১৩ এবং ১৬। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরীর বয়স ১৭। ১৬ ও ১৭ বছর বয়সি মেয়ে দু’টি দুই বোন এবং ১৩ বছরের কিশোরীটি তাঁদের তুতো বোন বলে জানা গিয়েছে। উন্নাওয়ের এসপি সুরেশরাও এ কুলকার্নি বলেন, ‘নিজেদের জমিতেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল মেয়েগুলি। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। উদ্ধার করার সময় তাঁদের মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিষ প্রয়োগের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরাও। জিজ্ঞাসাবাদ করছি আমরা। নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে। সেই বুঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’ আর সেই রিপোর্টে ধর্ষণের তত্ত্ব খারিজ হয়ে গেছে।