এবার রাজ্যের সমস্ত স্কুলে পড়ানো হবে ভগবত গীতা ও রামায়ণ, ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা

এবার রাজ্যের সমস্ত স্কুলে পড়ানো হবে ভগবত গীতা ও রামায়ণ, এমনটাই ঘোষণা করল উত্তরাখণ্ড সরকার। উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত জানান যে ভগবত গীতা তো বটেই, এরই সঙ্গে স্কুলের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হবে রামায়ণকেও। এছাড়াও, রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে সিলেবাসে আরও বিস্তারিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে।
গতকাল, সোমবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ধন সিং রাওয়াত জানান, “আমরা প্রথম রাজ্য হিসেবে এই বছর জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করতে চলেছি। জনতা এবং শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিয়ে আমরা পাঠ্যক্রমে গীতা, রামায়ণ ও বেদ অন্তর্ভুক্ত করেছি”।
এদিন কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির প্রশংসাও করেন উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, “নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে সিলেবাসের চল্লিশ শতাংশ বিষয় নির্ধারণের স্বাধীনতা রাজ্যগুলির হতে থাকছে। একইসঙ্গে ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকেও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে”।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসেই ভগবত গীতাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করে গুজরাত সরকার। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সে রাজ্যের সব স্কুলে পড়ানো হবে ভগবত গীতা। গীতাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভূত করা নিয়ে গুজরাত সরকারের যুক্তি ছিল, স্কুলে যদি ভগবত গীতা পড়ানো হয় তাহলে পড়ুয়ারা ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবে। ভারতীয় সমাজব্যবস্থা ও সামাজিক রীতিনীতিকে ছোটো বয়স থেকে রপ্ত করতে পারবে।
তবে উত্তরাখণ্ডে পাঠ্যক্রমে ভগবত গীতা ও রামায়ণকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বেশ বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিরোধীদের দাবী, সরকার শিক্ষার গৈরিকীকরণ করার চেষ্টা করছে। পাঠ্যক্রমে বদল ঘটানোর পিছনে রয়েছে হিন্দুত্ববাদের আদর্শ। যদিও এই দাবী খারিজ করে শাসকদল পাল্টা যুক্তি দিয়েছে যে গীতা শুধুমাত্র একটি ধর্মগ্রন্থ নয়, এটি জীবন দর্শনের এক অমূল্য সম্পদ।
অন্যদিকে, ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই গীতা, রামায়ণ ও বেদকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে কংগ্রেসের মতো জাতীয় বিরোধী দলগুলি এই সিদ্ধান্তের সরাসরি বিরোধিতা করতে পারছে না কারণ এতে হিন্দুদের আবেগ জড়িয়ে।