দেশ

এবার পুরীতে রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউস, জগন্নাথধামে জমি দেখতে গেলেন মমতা, জানালেন, ‘খুশি আছুন্তি, জমি দেখুন্তি, পছন্দ হুন্তি’

তিন-চারদিনের জন্য ছুটি কাটানো হোক বা একটু রিল্যাক্স করাই হোক, বাঙালির কিন্তু পছন্দের তালিকার প্রথমেই থাকে পুরী (Puri)। প্রত্যেক বছর অগুনতি পর্যটক ভিড় জমান জগন্নাথধামে। এবার এই সমুদ্র সৈকতেই হবে রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউস (guest house)। আর তার জন্য জমি দেখাও শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

গতকাল, সোমবারই ওড়িশা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বঙ্গভবন তৈরি করার পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের দীর্ঘদিনের। সেই কারণে এবার ওড়িশা সফরে যাওয়ার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন যে এই নিয়ে ওড়িশা সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই মতোই আজ, মঙ্গলবার জগন্নাথ দর্শনের আগে বঙ্গভবনেরজন্য জমি দর্শনে বেরিয়ে পড়েন মমতা।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম যে জমিটি দেখেন, সেটি ছিল চিল্কা রোডের ত্রিপুরের বালিয়াপণ্ডা এলাকায়। যে জায়গায় ওড়িশা সরকার পুরীর বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করছে, ঠিক তার পাশেই রয়েছে এই জমিটি।

সূত্রের খবর, ওড়িশা সরকার ৯৯ বছরের লিজে এই জমিটি দেবে বাংলাকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে জমিটি এদিন ভালোভাবে খতিয়ে দেখে এসেছেন, সেটি জগন্নাথ মন্দির এবং সমুদ্র সৈকত থেকে বেশ খানিকটা দূরে। আগামী দিনে এই এলাকা থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে সুগম করা যায়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নেবে ওড়িশা সরকার। 

এদিন জমি দেখতে গিয়ে মমতা বলেন, “আমি খুশি আছুন্তি। জমি দেখুন্তি, পছন্দ হুন্তি। কাল নবীনজিকে সাথ মিলুন্তি”। তিনি আরও বলেন, “অনেকদিন ধরেই আমার ইচ্ছে ছিল পুরীতে রাজ্য সরকারের একটা নিবাস বানানোর। এবার সে সেটা পূর্ণতা পেতে চলেছে”।

তাঁর সংযোজন, “আমি জানি বাংলার বহু পর্যটক ওড়িশায় আসেন। পুরীতে আসেন। এখানে রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউস থাকলে পর্যটকদের সুবিধা হবে”। ওড়িশা সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে পুরীতে বাংলার গেস্ট হাউস তৈরি করতে তারা সবরকম সাহায্য করবে। এই বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে আলোচনা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

debangon chakraborty

Related Articles

Back to top button