আপনার এই উপসর্গই বাতলে দেবে আপনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কী না, বলছে রিপোর্ট
করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে এখন গোটা বিশ্ব চিন্তিত। ওমিক্রনের উপসর্গগুলি ডেল্টা প্রজাতির থেকে অনেক বেশি প্রকট, এমনটাই জানা গিয়েছে। এই কারণে আপনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কী না, তা প্রাথমিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। এই লক্ষণগুলি দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কী না।
সম্প্রতি, দ্য সান-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আপ্নাত যদি গলায় ব্যাথার মতো উপসর্গ থেকে থাকে, তাহলে তা বেশ চিন্তার। চিৎকার করতে বা গান গাইতে গেলে যদি গলায় অসম্ভব ব্যাথা অনুভূত হয়, তাহলে তা উদ্বেগের বিষয়। গলার আওয়াজেও পরিবর্তন আসতে পারে।
ডেল্টার থেকে ওমিক্রন প্রজাতির এই বৈশিষ্ট্যটি অনেকটাই আলাদা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রনের প্রথম লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল একটি গলায় ব্যথা অনুভব করা। ওমিক্রনের প্রথম লক্ষণ হল গলার ভিতরে অস্বস্তি ও বেদনা।
ডেল্টা প্রজাতির ক্ষেত্রে এই ধরণের গলা ব্যাথার সমস্যা ছিল না। তবে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ডিসকভারি হেলথের প্রধান নির্বাহী রায়ান রোচ বলেন, ওমিক্রন-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নাক বন্ধ, শুকনো কাশি এবং পিঠের নিচে ব্যথা হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছে।
এছাড়াও,অন্য একটি জীবাণু সংক্রমণের সঙ্গে ওমিক্রনের বেশ মিউল রয়েছে, যার নাম হল প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা। এই জীবাণুতে সংক্রমিত হলে রাতে ঘুমের মধ্যে খুব ঘাম হয়। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও এই একই উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
এছাড়াও, সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গেও মিল রয়েছে ওমিক্রনের। তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মাথাব্যাথা ও ক্লান্তি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সাধারণ ঠাণ্ডা লাগাতে এমনটা হয় না। তবে, স্য সান-এর এই প্রতিবেদনে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে ওমিক্রন ডেল্টা প্রজাতির থেকে কম বিপজ্জনক। এর সংক্রমণ কম। এই প্রজাতিতে ডেল্টার থেকে ৫০-৭০ শতাংশ মানুষ কম আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে।