কী নাম হতে চলেছে অযোধ্যার মসজিদের? নকশাই বা কেমন হবে মসজিদের?
কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হল অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমিপুজো। অনেক টালমাটালের পর সব নিয়মাবলী মেনেই সম্পন্ন হয় পুজোর আচারবিধি। ভুমিপুজোর দিন ঘোষণার পরই জানা যায় যে খুব তাড়াতাড়ি একটি মসজিদও গড়ে উঠবে অযোধ্যায়। তার লোগোও প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি। এমনকি, নির্মাণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে খানিকটা।
রবিবার এই প্রসঙ্গে কথা বললেন ইন্দ-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক ও মুখপাত্র আতাহার হুসেন। তিনিই এই মসজিদ তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান যে মক্কার বিখ্যাত কাবা মসজিদের আদলেই তৈরি হবে অযোধ্যার এই মসজিদ। প্রায় ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে উঠে মসজিদটি যা বাবরি মসজিদের আয়তনের সমান। কিন্তু বাবরি মসজিদের থেকে একেবারে আলাদা আদলে তৈরি হবে এটি। জানা গিয়েছে কাবা মসজিদের ন্যায় তৈরি হতে পারে এই মসজিদ। কাবা মসজিদ চৌকো গড়নের। যদিও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বিষয়টি সম্পূর্ণ আলোচনার স্তরেই আছে। কাবা মসজিদের কোনও গোল মাথা বা গম্বুজ নেই, এই মসজিদটিও হতে পারে সেই গড়নেরই। তবে এই বিষয়ে যা চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবেন স্থপতিবিদই।
স্থপতি এস এম আখতার জানান, “এই মসজিদের নাম বাবরির নামে হবে না। এমনকি, কোনও রাজা-মহারাজার নামেও হবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই মানুষ এটিকে ধন্নিপুরের মসজিদ বলেই চিনুক”। মসজিদ ও মিউজিয়ামের জন্য অর্থ দান করার জন্য ট্রাস্টের তরফ থেকে একটি অনলাইন পোর্টালও খোলা হয়েছে। যদিও সেটি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরই অযোধ্যায় নতুন মসজিদ গড়ে তোলা নিয়ে তৎপর হন উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড। গঠন করা হয় ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। ঠিক হয় রাম মন্দিরের জায়গা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ধন্নিপুরে একটি মসজিদ তৈরি করা হবে। বর্তমানে ওই জায়গায় একটি সরকারি ফার্মের চাষের জমি ও একটি দরগাও রয়েছে।