আইসোলেশন ওয়ার্ডে ধর্ষিত হয়ে মৃত্যু মহিলা শ্রমিকের! অভিযুক্ত চিকিৎসক
করোনা-আতঙ্ক গ্রাস করেছে সারা দেশকে। লকডাউনের মধ্যেই কয়েক দিন আগে ঝুঁকি বাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন বড় শহর থেকে নিজের রাজ্যে ফিরেছেন অসংখ্য শ্রমিক। এবার জানা গেল, আইসোলেশনে থাকা তেমনই এক মহিলা শ্রমিকের প্রাণ গেল অকালে। তবে কোভিড ১৯ এ সংক্রমিত হয়ে নয়। যৌন নির্যাতনে!
জানা গেছে, স্বামীর সাথে লুধিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতেন মৃত ওই মহিলা। সেখানেই কিছুদিন আগে গর্ভপাত হয়ে যায় তরুণীর৷ ওই অবস্থাতেই সেখান থেকে বিহারের গয়ায় নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন তাঁরা। তখন সারা দেশে লকডাউন। ২৫ মার্চ নিজের বাড়ি এসে পৌঁছনোর পরে ফের রক্তপাত শুরু হয় ওই মহিলার। বাধ্য হয়েই এই করোনা আতঙ্কের মধ্যেই অনুগ্র নারায়ণ মগধ মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে ভর্তি করানো হয়৷ রাখা হয় এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে৷ চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু ১ এপ্রিল করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়৷ সেইখানেই ওই তরুণী অভিযোগ করেন, ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাঁকে ধর্ষণ করেছেন! প্রথমে প্রায় সকলেই অবিশ্বাস করেন অভিযোগ। আইসোলেশন ওয়ার্ডে যে একজন চিকিৎসক এমন ঘটনা ঘটাতে পারে, সেটা শুনতেই চাননি কেউ। কয়েক দিন পরে করোনার পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট এলে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও ওই মহিলার শরীর ক্রমে খারাপ হতে থাকে সাথে বেড়ে য়ায় রক্তপাতও।
এরপরেই বুধবার মারা যান মহিলা। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, খতিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে অভিযোগের ভিত্তিতে।
এমন কঠিন সময়ে এই কঠিনতর মৃত্যু যেন অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক কতটা নিকৃষ্ট ও বেপরোয়া মানসিকতার হলে তবে আইসোলেশনে থাকা কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করা যায়!
তবে কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি বিহার পুলিশ।