বিতর্কের মধ্যেও বুলডোজার অভিযানে সচল যোগী সরকার, প্রশাসনের নজরে আরও ৮৬ জন অভিযুক্তের বাড়ি
পয়গম্বর বিতর্কের (prophet row issue) জেরে হিংসাত্মক আন্দোলনে যুক্ত থাকা অভিযুক্তদের বাড়িঘর বুলডোজার (bulldozer) দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। এই নিয়ে বিতর্কও (controversy) শুরু হয়েছে বিস্তর। শুধুমাত্র দেশই নয়, বিদেশী সংবাদমাধ্যমেও উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের (Yogi Government) এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে।
কিন্তু এর জেরে একটুও দমতে রাজি নয় যোগী সরকার। এই বুলডোজার অভিযান চালাতে বদ্ধ পরিকর প্রশাসন। এবার প্রয়াগরাজে মহম্মদ জাভেদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পুলিশের দাবী, গত শুক্রবারের প্রতিবাদ আন্দোলনে ওয়েলফেয়ার পার্টির এই নেতাই ছিলেন ওই বিক্ষোভের মূল পাণ্ডা।
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছোঁড়ে আন্দোলনকারীরা। জাভেদকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গত রবিবার তাঁর বাড়ি ভেঙে দেয় প্রয়াগরাজ ডেভলপমেন্ট অথরিটি। পুলিশ ও প্রয়াগরাজ ডেভলপমেন্ট অথরিটির দাবী যে ওই বাড়িটি বেআইনি।
কিন্তু জাভেদের স্ত্রী কাগজপত্র দেখিয়ে দাবী করেন যে সেই বাড়ির মালিক তিনি। তিনি নিয়মিত পুরকর দেন। তবে ইসলামিক আইন অনুযায়ী, স্ত্রীর সম্পত্তি স্বামীর হয় না। এই কারণে জাভেদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়।
এই নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন যে যা চলছে তা পুরোপুরি বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। তাঁর কথায়, কেউ পুলিশ বা আদালতের হেফাজতে থাকাকালীন কী করে তাঁর বক্তব্য না শুনে বসবাসের বাড়ি ভেঙে দেওয়া যেতে পারে? কোনও নির্মীয়মান বেআইনি বাড়িও এইভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে ভেঙে দেওয়া যায় না।
তবে এত সমালোচনার মুখে পড়লেও দমে যেতে নারাজ যোগী সরকার। বুলডোজার অভিযান এখনও চলছেই। এখনও পর্যন্ত প্রয়াগরাজ প্রশাসন আরও ৮৬ জন অভিযুক্তের বাড়ি চিহ্নিত করেছে যাদের বাড়ি বেআইনি। কিন্তু এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে যে এই বাড়িগুলি যদি বেআইনি হবে, তাহলে এতদিন পর্যন্ত কেন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?