সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসকের ঘাটতি কমানোর অভিনব উদ্যোগ, রাজ্যে ১০ বছর প্র্যাকটিস না করলে ১ কোটি টাকা জরিমানা, মেডিক্যাল পড়ুয়াদের নির্দেশ যোগী সরকারের
হামেশাই দেখা যায় সরকারী হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়া যায় না। গরীব, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ চিকিৎসার জন্য এই সরকারী হাসপাতালের উপরেই নির্ভরশীল। ফলে কঠিন ব্যাধিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না মিললে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হারান কত মানুষ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব মেটাতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
যোগী সরকারের পক্ষ থেকে মেডিক্যালের স্নাতকোত্তর কোর্সের পড়ুয়াদের একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের যে কোনও সরকারী হাসপাতালে বা রাজ্যেরই কোথাও ডাক্তারি পেশায় অন্তত ১০ বছর কাটাতেই হবে। মাঝপথে কেউ যদি চাকরি ছেড়ে দেন, তবে তাঁকে ১০ কোটি টাকার জরিমানা দিতে হবে।
এই বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিব অমিত মোহন প্রসাদ জানান, স্নাতকোত্তর কোর্সে নাম লেখানো ডাক্তারি পড়ুয়াদের রাজ্যে অন্তত ১০বছর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া অত্যাবশ্যক করা হয়েছে। যদি কোনও চিকিৎসক তা না করেন বা মাঝপথে চাকরি ছেড়ে চলে যান, তবে তাঁকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে, এও বলা হয়েছে রাজ্য সরকাররের পক্ষ থেকে। আবার যদি কোনও পড়ুয়া স্নাতকোত্তর কোর্স শেষ না করেই মাঝপথে তা ছেড়ে দেন, তবে তিনি আগামী ৩ বছরের মধ্যে ওই কোর্সে আর ভর্তি হতে পারবেন না, এমন নির্দেশও জারি করা হয়েছে যোগী সরকারের পক্ষ থেকে।
স্বাস্থ্যসচিবের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী সরকারী হাসপাতালগুলিতে ১৫০০০ চিকিৎসকের পদ খালি পড়ে রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, যেসমস্ত এমবিবিএসরা রাজ্যের কোনও গ্রামীণ সরকারি হাসপাতালে ১ বছর ধরে কাজ করছেন, ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা NEET-এ তাঁদের আলাদা করে ১০ পয়েন্ট দেওয়া হবে। যাঁরা ২ বছর ধরে কাজ করছেন, তাঁরা পাবেন ২০ পয়েন্ট ও যাঁরা ৩ বছর ধরে গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত, NEET PG প্রবেশিকায় তাঁরা ৩০ অতিরিক্ত পয়েন্ট পাবেন।
এছাড়াও, স্বাস্থ্য দফতর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ডাক্তারি পড়া শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল অফিসারকে চাকরির ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হবে। স্নাতকোত্তর শেষ করার পর সরকারি চিকিৎসকরা সিনিয়র রেসিডেন্সি করতে পারবেন না। এই ব্যাপারে স্বাস্থ্য দফতর যে তাঁদের কোনওরকম নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেবে না, এও স্পষ্ট জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে।