গরমে নাজেহাল অবস্থা কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের৷ আটটি জেলাতে জারি তাপপ্রবাহের শতর্কতা। স্বাভাবিকের থেকে প্রতি জেলাতেই ২-৩ ডিগ্রী তাপমাত্রা বেশি থাকছে। বৃষ্টি কবে হবে তার উত্তর নেই আবহাওয়া দপ্তরের নিকট। প্রখর রোদ এবং গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর্দ্রতা, যা হয়ে উঠেছে বড়ো অস্বস্তির কারণ। আর্দ্রতার দরুণ-ই ঘামে প্যাচপ্যাচে অস্বস্তি নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ বাসীদের। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর যে আগামী ৪৮ ঘন্টাতে এই গরম এবং অস্বস্তি দুই-ই বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে সহজেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা। তবে সুস্থ থাকা উপায় কি?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, সকাল ১২ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত তাপ এবং রোদ সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই একান্তই উপায় না থাকলে তবেই ওই সময় বাড়ি থেকে বাইরে বেরোনো উচিৎ । নতুবা সকাল এবং বিকেলের আগে বাড়ি কিংবা কর্মক্ষেত্র থেকে বাইরে বেরোনো উচিৎ নয়৷
এই গরমে যে কোনো সময় বেরোতে হলেই অবশ্যই সঙ্গে জল নিয়ে বেরোতে হবে। আর প্রখর রোদ থাকলেতো কথাই নেই, সেসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সঙ্গে করে না নিয়ে বেরোলেই হতে পারে বিপদ৷ শুধু জল নয়, ঘরে কিংবা বাইরে যেখানেই থাকুননা কেনো জলের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই খাবেন দই-এর ঘোল, নুন – চিনি-র সরবত এবং ডাবের জল। মনে রাখবেন এই গরমে ডাবের জল স্বাস্থ্যের পক্ষে সবচেয়ে উপকারী। দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করা মাস্ট৷
এই প্রখন রোদে বাইরে বেরোতে হলে অবশ্যই সঙ্গে নিন ছাতা। যা আপনাকে সরাসরি রোদের হাত থেকে বাঁচাবে। মুখ হাত ঢেকে নিতে পারেন কাপড়ে। পরিধান করুন সুতির হালকা রঙের বস্ত্র। কালো জিনিস রোদে পরে বেরোনো অনুচিত।
সুযোগ পেলেই খেয়ে নিন বিভিন্ন টাটকা ফল কিংবা ফলের রস। টক দই এই গরমে স্বাস্থ্যের পক্ষের ভালো। দিনে করুন ৩-৪ বার স্নান৷ এতোবার স্নান করলে তবেই মিলতে পারে কিছুটা স্বস্তি। অধিক মশলাপাতি যুক্ত খাবার খেতে বিরত থাকুন। টক ডাল জাতীয় হালকা খাবার এই গরমের জন্য বেশ ভালো।
বাইরের রোদ থেকে এসে দ্রুত এসি-এর নীচে যাবেননা। মনে রাখবেন এমন হঠাৎ ঠান্ডা হতে গেলে ঘাম শুকিয়ে তার থেকে হতে পারে সর্দি এমনকি জ্বল, গলাব্যথা পর্যন্ত। নিয়মিত ব্লাড প্রেসার চেকাপে রাখুন৷ হঠাৎ মাথা ঘুরে গেলে কিংবা চোখে অন্ধকার দেখলে তৎক্ষণাত সেখানে দাড়িয়ে চোখে মুখে জলের ঝাঁপটা দিন এরপর দ্রুত চিকিৎসকের নিকটে যান।
মনে রাখবেন অত্যাধিক গরমে ছোটে থেকে বৃদ্ধ প্রায় সকলেরই হতে পারে ‘হিট স্ট্রোক’। এর পূর্বেও গরমকালে স্কুল পড়ুয়াদের হিট স্ট্রোকের খবর মিলেছিল কলকাতা থেকে। তাই সাবধানে থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং উপরে উক্ত সতর্কতাগুলো অবলম্বন করে চলুন৷