করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গু ও ভাইরাল জ্বর! কীভাবে শনাক্ত করবেন রোগকে? পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের

ফের বাড়ছে করোনার প্রকোপ। আর এরই সঙ্গে মাথাচাড়া দিচ্ছে ডেঙ্গু ও ভাইরাল জ্বর। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে বুঝবেন, আদৌ আপনি করোনা আক্রান্ত নাকি ডেঙ্গুতে নাকি ভাইরাল জ্বরে? এবার এই প্রশ্নের জবাব দিলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাক্তন পরিচালক ডঃ বেনজির আহমেদ।
ডঃ বেনজির আহমেদের মতে জ্বরের লক্ষণ নির্বাচিত করেই রোগকে শনাক্ত করা সম্ভব। তাঁর কথায়, “ডেঙ্গুর মূল লক্ষ্যগুলি হল- জ্বর , গা-হাত পায়ে ব্যথা। অন্যদিকে, ভাইরাল জ্বর হলে সেক্ষেত্রে লক্ষণগুলি হল সর্দি, হাঁচি-কাশি, অ্যাজমা। এদিকে করোনাভাইরাসের মূল উপসর্গগুলি হল জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশি, নিঃশ্বাসে কষ্ট, ডায়ারিয়া, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়া, ব্রেন স্ট্রোক, স্বাদগন্ধ চলে যাওয়া। ফলে কারও যদি শুধুমাত্র জ্বর এবং গা-হাত পায়ে ব্যথা করে সেক্ষেত্রে তাঁর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। কিছু উপসর্গ এক হলেও এক্ষেত্রে অনেকাংশেই রোগের লক্ষণগুলি দেখেই তা আলাদা করা সম্ভব”।
তাহলে কেউ যদি করোনা, ডেঙ্গু বা ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হন, তাহলে তাদের কী করতে হবে? ডঃ আহমেদ জানান, “জ্বর, ডেঙ্গু বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে তরল গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। একইসঙ্গে হাতের কাছে রাখতে হবে প্যারালিটামল জাতীয় ওষুধও। যদি প্রবীণদের জ্বর ১০৩-এর বেশি ওঠে এবং শিশুদের ১০২-এর বেশি সেক্ষেত্রে সাময়িকভাবে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে। কোনও ব্যথা বা অন্য কোনও ওষুধ খাওয়ানো চলবে না। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন”।
বলে রাখি, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাংলাদেশে নতুন করে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
আবার বিশেষজ্ঞদের অন্য এক অংশের মতে, এমনটা একেবারেই হয়নি। তবে বাংলাদেশের নানান এলাকাতেই প্রকোপ বেড়েছে ডেঙ্গুর। এর পাশাপাশি ভাইরাল জ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছেন একাধিক। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রান্ত নানান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।