Others

বাধা-বিপত্তি কাটাতে স্মরণ করুন সঙ্কটমোচন বজরঙ্গবলীকে, জানুন নিয়মকানুন

বিজ্ঞাপন

হিন্দু মতে অঞ্জনী পুত্র সংকট হরণ শ্রী হনুমানের স্মরণ করলে জীবনের সব বিপদ থেকে মুক্ত হয় যায়।পবনপুত্র হনুমান হলেন হিন্দু ধর্মের একজন পূজনীয় যিনি অযোধ্যাপতি শ্রী রামচন্দ্রের একনিষ্ঠ ভক্ত। হিন্দু পুরাণে তাঁকে বিশেষ স্থান দেয়া হয়েছে। রামায়নে হনুমান পবননন্দন হিসেবে সবার কাছে বর্ণিত। রামায়ণের প্রধান চরিত্র শ্রী রামচন্দ্র যাকে অনেকেই বিষ্ণুর অবতার হিসেবে দাবি করেন তার পরম অনুগত হিসেবেই হনুমানকে পাওয়া যায়। হিন্দুদের কাছে হনুমান রামভক্ত হিসেবেই অধিক পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

হিন্দু পুরাণ মতে হনুমান হলেন শিবের আশীর্বাদ ধন্য। হনুমান এর মা অঞ্জনা ভগবান শিবের পরম ভক্ত ছিলেন। জানা যায় স্বয়ং ভগবান শিব অঞ্জনার ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়েই তাকে বীর পুত্রের জননী হওয়ার আশীর্বাদ দিয়েছিলেন৷ তবে শুধু রামায়ণ নয় হনুমানের বিশেষ বৰ্ণনা দেয়া হয়েছে পুরাণ কাহিনিতে। মহাভারতরে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষে অর্জুন যখন রথ থেকে নেমে আসেন, তখন পার্থসারথী শ্রী কৃষ্ণ, রথশীর্ষে অবস্থান করার জন্য হনুমানকে ধন্যবাদ জানান। হনুমানও ধ্বজা-রূপ ত্যাগ করে তখন স্বমূর্তিতে প্রকাশিত হন।তারপর তিনি সেখান থেকে বিদায় নেওয়ার সাথে সাথেই রথটি ভস্মে পরিণত হয়।ঘটনাটির পর অর্জুনকে বিস্মিত দেখে কৃষ্ণ জানান, তার রথের ওপর ভয়ানক সব অস্ত্র বর্ষিত হয়েছে। কিন্তু স্বয়ং হনুমান তার রথের রক্ষাকবচ হিসেবে অবস্থান করেছিলেন, না-হলে রথটি অনেক আগেই ভস্মীভূত হয়ে যেত।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণমুখী হনুমানকে অনেকেই অত্যন্ত শুভ মনে করেন। দক্ষিণ দিকটি যম অর্থাৎ যমরাজের সময়কাল হিসাবে বিবেচিত হয়। হনুমান কিন্তু রুদ্র অর্থাৎ শিবের অবতার, যিনি সময়ের নিয়ামক।তাই দক্ষিণমুখী হনুমানের উপাসনা করলে মৃত্যু, ভয় ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। তাই জীবনের সবচেয়ে জটিলতম পরিস্থিতি কাটাতে ভক্তরা সঙ্কটমোটন হনুমানের স্মরণাপন্ন হন। প্রতিদিন ভক্তিভরে হনুমানচলিশা পাঠ করলে খুব শিঘ্রই জীবনের সব বাধা আপনি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading