কোভিড পজিটিভ হয়ে হোম কোয়ারান্টাইনে? জেনে নিন কী কী রাখবেন ডায়েট চার্টে

বাংলায় এখন করোনা সংক্রমণের হার শীর্ষে পৌঁছেছে। অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও অধিকাংশ মানুষই বাড়িতে চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে উঠছেন। তবে অনেকেই ধন্ধে ভুগছেন এই সময়ে কী খাবেন এবং খাবেন না এই নিয়ে।
তাই আজ আপনাদের জন্য রইল একটি ডায়েট চার্ট। যারা করণা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে আছেন তারা বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তৈরি এই ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে পারেন।
সকালে উঠেই ব্রেকফাস্টে পেট ভরে খেতে হবে। করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ইমিউনিটি সিস্টেম কার্যকারী করা খুবই দরকার। তাই শরীরে ভিটামিন যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঢোকে তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ব্রেকফাস্ট পোহা, উপমা, ইডলি, ধোসা, চিলা, ডিমের সাদা অংশ, হলুদ দুধ খেতে পারেন। মনে রাখতে হবে সব রান্নাই হবে অল্প তেলে এবং লঙ্কার গুঁড়ো ছাড়া।
দুপুরের খাবারে রুটি অথবা ভাত, সেইসঙ্গে একবারটি মুসুর ডাল, শাকসবজি এবং মাছ অথবা মাংস। মাংস বলতে শুধুমাত্র তেল মশলা ছাড়া পাতলা ঝোল অথবা স্ট্যু চলবে। মাছও আলু, বড়ি দিয়ে ঝোল করতে পারেন। সেইসঙ্গে গাজর, শসা দিয়ে এক বাটি স্যালাড।
বিকেলের চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেতে পারেন। তবে কোনও নোনতা মসলাদার বিস্কুট নয়। চিকেন অথবা ভেজিটেবল স্যুপ খেতে পারেন। সেঁকা পাউরুটি মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন।লেবুর রস দিয়ে ছোলা মাখা বা আলুকাবলিও চলতে পারে। ছানা খেতে পারেন। এছাড়া উপরে ব্রেকফাস্টের যে তালিকা দেওয়া রয়েছে সেখান থেকেও কোনো পদ রান্না করে খেতে পারেন। মোট কথা তেল মশলার কোনও রান্না চলবেনা।
রাতের বেলা রুটি অথবা ভাত, এক বাটি ডাল এবং সবজি খাওয়াই ভালো। ভেজ খিচুড়িও চলতে পারে।
এ সময় প্রচুর পরিমাণে ফল খেতে হবে। টক দই খেতে পারেন। ডায়েটে পিনাট বাটার রাখলে খুবই ভালো। ওটস খেতে পারেন।
এই সময় প্রচুর জল খেতে হবে। প্রয়োজনে মাঝেমাঝে ওআরএস জল খাবেন। এছাড়া ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক ট্যাবলেট খেতে পারেন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে।