ভুয়ো খবর আটকাতে উদ্যত কেন্দ্র সরকার, গুগল-ফেসবুক-টুইটারের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় কেন্দ্রের

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর আটকানোর জন্য এবার আরও কড়া হল কেন্দ্র সরকার। দেশের প্রধান তিনটি প্রযুক্তি সংস্থা গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের সঙ্গে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়ায় ভারতীয় আধিকারিকরা। হয় বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শেয়ারচ্যাট ও কু অ্যাপের প্রতিনিধিরাও। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যাতে দ্রুত ও তৎপরতার সঙ্গে ভুয়ো খবর সরানো হয়, তা নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা কথা বলে এই তিন সংস্থার সঙ্গে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের আধিকারিকরা গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের কড়া সমালোচনা করেন। ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকে এই সংস্থাগুলি কেন কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
কেন্দ্রের কথায়, এই তিন প্রযুক্তি সংস্থা ভুয়ো খবর না সরানোর জেরে ভারত সরকারকেই নানান বিষয়বস্তু সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরাতে হচ্ছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক মহলে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে সরকারকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানানো হয়।
কেন্দ্রের তরফে দাবী করা হয়েছে যে অপব্যবহার রুখতে প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলির নিয়ম আরও কঠোর করার চেষ্টা করছে সরকার। এই কাজে সংস্থা যাতে কোনও তথ্য বা বিষয়বস্তু তুলে ধরার আগে আরও ঝাড়াই-বাছাই করে, সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক তাদের “জরুরি ক্ষমতা” প্রয়োগ করে গুগলের ইউটিউব থেকে যে ৫৫টি চ্যানেল ব্লক করে দেয় এবং এর পাশাপাশি বেশ কিছু টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টও সরিয়ে দেয়। এর প্রেক্ষিতেই এই সপ্তাহে গুগল, টুইটার ও ফেসবুক সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসে কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা।
চ্যানেল ব্লক করে দেওয়ার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে সেই সময় জানানো হয় যে ওই ইউটিউব চ্যানেলগুলি দেশবিরোধী ও ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছিল। পাকিস্তানের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভুয়ো তথ্য প্রচার করা হচ্ছিল বল জানানো হয়।
এই বিষয়ে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক বা মেটা (ফেসবুক), টুইটার ও শেয়ারচ্যাটের তরফে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করা হয়েছে। গুগলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী সংস্থার তরফে সমস্ত বিষয়বস্তু বা কনটেন্টের পর্যালোচনা করা হয়। দেশের আইন অনুযায়ী নানান প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন বিষয় সরিয়েও ফেলা হয়।