‘Twitter বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, কোম্পানির কর্মীরা চরম বামপন্থী’, দাবী টুইটারেরই সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের

ফের একবার বিতর্কে জড়াল টুইটার। এলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণ করা স্থগিত হওয়ার পরই নানান বিস্ফোরক দাবী করলেন টুইটারের এক সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর সেই বক্তব্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলার সঙ্গে কথোপকথন করছেন টুইটারের এক ইঞ্জিনিয়ার সিরু মুরুগেসান। আর সেই কথোপকথনেই তিনি নানান চাঞ্চল্যকর দাবী করেছেন। তাঁর কথায়, “Twitter বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না”। টুইটার বামপন্থীদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে বলে দাবী তাঁর।
এলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার তথ্য সামনে আসে। এমন আবহে এবার সিরু মুরুগেসানের এমন দাবী বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালল কার্যত। বলে রাখি, এলন মাস্ক আগেই জানিয়েছিলেন যে বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতেই টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তবে এলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে সিরু মুরুগেসান জানান যে তাঁর বেশিরভাগ সহকর্মীই নাকি এলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তের বিরোধী।
তিনি বলেন, “আমি অন্তত এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু আমার কিছু সহকর্মী চরম বামপন্থী। তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণা করেন”।
Breaking from Project Veritas
Twitter employee confirms bias at Twitter
Seems I was right
Because conservatives tolerate leftist speech and leftist won't tolerate the right, Twitter opts to censor the right as "balance"@elonmusk pic.twitter.com/zjAYwcIbol
— Tim Pool (@Timcast) May 16, 2022
সহকর্মীরা কীভাবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন? জবাবে সিরু জানান, “এই ঘটনা সত্যি হলে সেই দিনই চাকরি ছাড়তে পারেন অনেকে”।
তাঁর কথায়, “টুইটার অফিসের পরিস্থিতি এতটাই বাম ঘেঁষা যে আমার জীবনের ভাবনাকে প্রভাবিত করতে শুরু করেছে। আমি টুইটারে কাজ শুরু করার পরে একজন বামপন্থীতে পরিণত হয়েছি”।
তিনি এও বলেন, “আমার মনে হয় পরিবেশটাই এমন যে সেখানে থাকলে যে কেউ বদলে যাবেন”। সিরু মুরুগেসান আরও দাবী করেন, “টুইটার শুধুই দক্ষিণ পন্থী পোস্ট নিষিদ্ধ করে। বামপন্থী পোস্টের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। টুইটার যে নিরপেক্ষ নয় তা সম্পূর্ণ সত্যি। এখন এই ভাবেই চলছে কোম্পানিটি”।
এর আগে এলন মাস্কও একাধিকবার দাবী করেছেন যে টুইটার বামপন্থীদের পক্ষপাত করে। এই কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্টিভ ব্যাননের মতো দক্ষিণপন্থী ব্যক্তিত্বদের এই প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
এদিকে, সিরু মুরুগেসান জানান যে ২৫শে এপ্রিল এলন মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। তাঁর কথায়, “আমাদের চাকরি নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। উনি একজন পুঁজিবাদী। সেই ভাবধারা মেনেই কাজ করবেন। আমরা এতদিন সমাজতান্ত্রিক ভাবনায় কাজ চালিয়ে এসেছি। কোম্পানির সব কর্মী চরম বামপন্থী”।