West Bengal
৩ মাসে ৬ মহিলাকে খুন করার পর অবশেষে গ্রেফতার কালনার সিরিয়াল কিলার।
বিজ্ঞাপন
সিরিয়াল কিলার বিষয়টি এখনও অবধি সীমিত ছিল সিনেমাতেই। তবে এবারে বাস্তবের সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে রীতিমতো ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখে পরতে হলো কালনা বাসীদের। তিন মাসে ৬ জন মহিলাকে খুন করে কলনায় এক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল এক ঠান্ডা মাথার সিরিয়ালকিলার। অবশেষে সেই সিরিলারকিলারকে বন্দী করতে সক্ষম হয় পুলিশ৷
পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার মেমারী থানার এলাকায় রীতিমতো এক আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিলো এই সিরিয়াল কিলার৷ ৩ মাসে ৬ জন মহিলাকে ঠান্ডা মাথায় খুম করে বাড়ি থেকে সোনা, রুপো, টাকা লুঠ করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। প্রধানত একা মহিলাকেই টার্গেট করতো এই সিরিয়াল কিলার৷ অবশেষে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে সেই সিরিলায় কিলারকে শনাক্ত করে তাকে বন্দী করে পুলিশ।
পুলিশের জেরার মুখে সেই সিরিয়াল কিলার জানায় যে তার নাম কামরুজ্জামান। তার আসল বাড়ি মুর্শিদাবাদের কালিনগর৷ সে তার স্ত্রী এবং এক মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে কিছুদিন হলো কালনার নাদনঘাট থানা এলাকায় এসেছে৷ ৬ টি খুনের প্রসঙ্গে তার বক্তব্য যে, হঠাৎই খুনের ইচ্ছে জাগে তার মনে। তাই সে একের পর এক খুন করতে উদ্যত হয়।
বিজ্ঞাপন
সাধারণত বাড়িতে একা থাকা মহিলাদের টার্গেট করতো সে। টার্গেট একবার পেয়ে গেলে সেই স্থানে রেইকি করতে সে আরও বার কয়েক যেতো। এরপর সুযোগ বুঝে বিদ্যুত দফতরের মিটার রিডারের নান করে বাড়িতে ঢুকে টার্গেটকে চেন দিয়ে গলা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করতো।এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করতো। এইভাবেই একে একে ছয় জনকে খুন করে কামরুজ্জামান,এছাড়াও আরও তিনজনকে সে খুনের চেষ্টা করেছিল।
রবিবার কাঁকুড়িয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। গত তিন মাসে ৬ টি খুনের পর স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়ছিল পুলিশ প্রশাসনের ওপর। অপরাধীকে পাকরাও না করতে পারার দরুণ অস্বস্তিতে পরতে হয়েছিল তাদের। পরিস্থিতি এতোতাই খারাপ হয়ে ওঠে যে শেষে বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি-ও আসেন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। অবশেষে সেই কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারকে আটকের পা কালই তাকে আদালতে পেশ করা হয়। সেখান থেকে পুলিশ আধিকারিকরা কামরুজ্জামানকে আরও জেরা করার জন্য আদলতের নিকট তাকে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখতে চান। আদালতও তা মেনে নেয়৷ এরপর কামরুজ্জামানের কথা মতো তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কর্মীরা উদ্ধার করেন সেই সমস্ত বাড়ি থেকে চুরি করে আনা সোনা,রুপোর গয়না এবং সঙ্গে সেই চেইনটি যা দিয়ে শ্বাসরোধ করে টার্গেটকে মৃত্যুর মুখে এনে দিত এই সিরিয়াল কিলার। কামরুজ্জামানের কঠিনতম শাস্তি চেয়ে ইতিমধ্যেই দাবী জানিয়েছেন কালনার অনেক বাসীন্দারা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন