ডিএ নিয়ে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য সরকারের, প্রতিবাদে একদিনেই গণইস্তফা দিলেন তৃণমূল শিক্ষা সেলের ৫০ জন শিক্ষক

রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ (DA) বাড়ানোর ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এর জেরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতিবাদের ঝাঁঝ আরও বেড়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (State Government Employees) একাংশ দু’দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এসবের মধ্যেই এবার সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে তৃণমূল শিক্ষা সেল (TMC Siksha Cell) থেকে ইস্তফা (resign) দিলেন একের পর এক শিক্ষক।
জানা গিয়েছে, গতকাল, সোমবার ৫০ জন শিক্ষক তৃণমূল শিক্ষা সেল থেকে পদত্যাগ করেছেন। এদিন বাঁকুড়া ইন্দপুর ব্লকের শালডিহা হাইস্কুলের ৩২ জন শিক্ষক ইস্তফা দেন শিক্ষা সেল থেকে। তারা পদত্যাগের কথা জানালেও তা এখনও গৃহীত হয়নি বলেই জানান শিক্ষকরা। পদত্যাগ করা শিক্ষকদের নাম ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে।
ধূপগুড়ির স্কুলেও তৃণমূল শিক্ষা সেল থেকে গণপদত্যাগ করেন শিক্ষকেরা। এই স্কুল থেকে পদত্যাগ করেছেন ১৮ জন শিক্ষক। ওই স্কুলের মোট শিক্ষক সংখ্যা ২১। তার মধ্যে ১৮ জনই পদত্যাগ করায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে ডিএ নিয়ে তাদের দাবী মেনে তা না বাড়ানো পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন যে জারি থাকবে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফ থেকে চন্দন মণ্ডল বলেন, “আমরা ২৮ টি সংগঠন মিলে এই যৌথমঞ্চের আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আজ সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৩৮। প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ যোগ দিচ্ছে”। তাদের মতে, এভাবে যদি প্রতিবাদ বাড়তে থাকে, তাহলে তাদের দাবী মেনে নেওয়া হবে। রাজ্য সরকার ভেবেছিল ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ালে আন্দোলন কমে যাবে। কিন্তু যা দেখা যাচ্ছে, তার উল্টোটাই ঘটেছে।
এই ৫০ জন শিক্ষকের আগে শিলিগুড়িতে ১২ জন শিক্ষক ইস্তফা দেন তৃণমূল শিক্ষা সেল থেকে। এই প্রসঙ্গে চন্দন মণ্ডল বলেন, “ওঁরা নিজেরাও বুঝতে পারছেন দাবিটা নায্য, পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সরকার সেই টাকা মেরে মেলা, খেলায় খরচ করছে”। তাঁর মতে, এভাবেই সরকারি কর্মীদের তৃণমূলপন্থী সব সংগঠন আগামিদিনে ভেঙে যাবে।