নিশানায় বিজেপি! হত্যা থেকে শুরু থেকে বোমা বিস্ফোরণ! চলতি মাসে বিজেপির উপর হওয়া ৮টি হামলা

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দু’দিনের বাংলা সফরে এসে সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। সঙ্গে এও বলেছেন যে, আগামী নির্বাচনে বাংলায় ২০০টি আসন নিয়ে জিতে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। বিজেপির এই হুঁকারে স্ত্রস্ত রাজ্য সরকার। বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘাত। নিজের গদি টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দলের উপর একের পর হামলা চালিয়ে গিয়েছে শাসকদল। চলতি মাসেই বিজেপির উপর হয়েছে মোট ৮টি হামলা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সবকটিতেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকেই।
২২শে ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রামে এক বিজেপি কর্মী অশোক সর্দারকে দিনদুপুরে গুলি করে হত্যা করে তৃণমূল গুণ্ডারা।
এর আগে ২০শে ডিসেম্বর ছিল বোলপুরে অমিত শাহ্’র সভা। এদিন বোলপুরে একটি পথযাত্রা করেন তিনি। এই পথযাত্রাতে কোনও হামলা না হলেও, সেখান থেকে ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের উপর আঘাত হানে তৃণমূল কর্মীরা। জানা গিয়েছে, এই হামলায় প্রায় ১৫ জন বিজেপি কর্মী আহত হন।
গত ১৩ই ডিসেম্বর অন্য এক বিজেপির সক্রিয় কর্মী সুখদেব প্রামাণিককে হত্যা করে তৃণমূল গুণ্ডারা। তাঁর অপরাধ ছিল, তিনি বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রতিবাদ করেছিলেন।
১২ই ডিসেম্বর অর্থাৎ সুখদেব প্রামাণিক খুনের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে হালিশহরে খোলা রাস্তায় বিজেপি বুথ সভপতি সৈকত ভাওয়ালকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করে তৃণমূল গুণ্ডারা।
১০ই ডিসেম্বর, দু’দিনের বাংলা সফরে এসে ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাচ্ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। গন্তব্যে যাওয়ার আগে রাস্তায় তাঁর কনভয়ে হামলা চালায় তৃণমূল সমর্থক ও কর্মীরা।
৯ই ডিসেম্বর, তুফানগঞ্জে বিজেপির বুথ কমিতির সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ করা হয়, তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে খুন করে তারপর তাঁর দেহ সিলিং-এ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৭ই ডিসেম্বর বিজেপির মুখ্যসচিব কবীর শঙ্কর বসুর বাড়ি ঘেরাও করে তৃণমূল গুণ্ডারা। কবীর বসু জানান জে, তাঁর বাড়ির সামনে প্রায় ১০০জন তৃণমূল গুন্ডা দাঁড়িয়ে ছিল ও তাঁর গাড়িও ঘেরাও করা হয়েছিল। জানা যায়, তিনি যখন নিজের বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বেরোবার চেষ্টা করেন, তখন তাঁর গাড়ি ঘেরাও করে তৃণমূল।
৭ই ডিসেম্বর, বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানে বাধার সৃষ্টি করে পুলিশ। মিছিলের উপর ছোঁড়া হয় জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের শেল। এই মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের রবার বুলেটের আঘাতে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের।
এই ঘটনা গুলির বিচার করলেই বোঝা যায় যে আগামী নির্বাচনে নিজের জায়গা ধরে রাখতে কীভাবে বিজেপির উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল।