জোর করে তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ করলে প্রকাশ্যে বাঁশপেটা ইঞ্জিনিয়ারকে, রেহাই পেলেন না স্ত্রীও, সব দেখেও নিষ্ক্রিয় পুলিশ

ফের একবার তোলাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তোলাবাজির প্রতিবাদ করতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় এক ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর স্ত্রীকে। এই ঘটনায় নিষ্ক্রিয় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার ফলতা থানার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিতলা এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় একমাস আগে ২০শ মার্চ। কিন্তু এখনও অভিযুক্তরা অধরা। আক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ার কুন্তল মজুমদারের অভিযোগ, এই পুরো ঘটনার কথা তারা জানিয়েছিলেন স্থানীয় ফলতা থানায়। কিন্তু সবটা জেনেও নিষ্ক্রিয় রয়েছে পুলিশ। এর জেরে তারা দ্বারস্থ হন আদালতে। বর্তমানে প্রাণভয়ে ঘরছাড়া মজুমদার পরিবার।
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, গত ২০শে মার্চ নিজেদের জমিতে মাটি ফেলার কাজ করছিলেন পেশায় ইঞ্জিনিয়ার কুন্তল মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী জুলি মজুমদারও। তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। সেই সময় দলবল নিয়ে এখানে হাজির হন দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সনাতন মাইতি। তোলা হিসেবে দু’লক্ষ টাকা চাওয়া হয় কুন্তলবাবুর থেকে।
কিন্তু কুন্তলবাবু তা দিতে অস্বীকার করলে সেখানেই বাঁশ দিয়ে মারা হয় তাঁকে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বেই তার অনুগামীরা মারধর করে কুন্তলবাবুকে। সেই সময় কুন্তলবাবুর স্ত্রী জুলি বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এমনও অভিযোগ উঠেছে যে এরপর কুন্তলবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে। সেখানেও বেধড়ক মারধর করা তাঁকে। এরপর তিনি বেশ কিছুদিন ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। বর্তমানে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন কুন্তলবাবু ও তাঁর পরিবার। সাহায্য মেলেনি পুলিশেরও।
এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। স্থানীয় বিজেপি নেতা জানান, “এই ঘটনা রাজ্যের একাধিক জায়গায় ঘটে চলেছে। তবে এর সুবিচার যদি মজুমদার পরিবার না পায় তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে”।
এদিকে, এই বিষয়ে ফলতা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খান জানান, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। দেদার মাটি ফেলায় অসুবিধা হচ্ছিল গ্রামবাসীদের। তবে মারধরের ঘটনা ঠিক নয়। দোষীরা শাস্তি পাবে”।
দেখে নিন মারধরের সেই ভিডিও-
ভিডিও সৌজন্যেঃ টিভি নাইন বাংলা