‘তোমরা ঠিক ডিএ পেয়ে যাবে’, জেলে বসেই পুলিশকে প্রতিশ্রুতি কেষ্টর, হইচই বিরোধী মহলে

জেলে বসেও স্বমহিমাতেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। এর আগেও বারবার দেখা গিয়েছে যে বীরভূম জেলায় কোনও সমস্যা হলে তিনিই নিদান দিতেন আর তাঁর কথাই হত শেষ কথা। কিন্তু কোনও জনপ্রতিনিধি না হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতেন, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরের (opposition) তরফে অনেকবার কটাক্ষও করা হয়েছিল। এবার জেলে বসেই একপ্রকার সরকারি প্রতিশ্রুতি দিলেন অনুব্রত।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এই মামলা যায় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের তরফে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও রাজ্য তা এখনও করেনি। বরং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। সেই মামলা আপাতত বিচারাধীন।
এদিকে, কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ডিএ-র ফারাক দিনদিন বেড়েই চলেছে। যা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়ছে। ডিএ না পাওয়ার দলে রয়েছে পুলিশও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবার পুলিশকে জেলে বসেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে কেষ্ট বললেন, “রাজ্য সরকার তোমাদের বকেয়া ডিএ ঠিক মিটিয়ে দেবে”।
গতকাল, রবিবার সকালে হঠাৎই আসানসোল জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুব্রত। বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। দেরি না করে জেল থেকে কড়া পুলিশি পাহারায় দ্রুত অনুব্রতকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এমার্জেন্সিতে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কেষ্টর নানান শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা চলে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই সময়ই তাঁর নিরাপত্তার কারণে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কর্মীদের দিকে তাকিয়ে অনুব্রত ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। উত্তরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা তাঁর দিকে তাকিয়ে শুধু মুচকি হাসেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে অনুব্রতর ডিএ নিয়ে এমন প্রতিশ্রুতির কথা জানাজানি হতেই বিরোধী মহলে বেশ শোরগোল পড়েছে। সিপিএম-বিজেপি উভয়ের কথাতেই, অনুব্রত জনপ্রতিনিধি নন বা সরকারের কেউ নন। তাহলে ডিএ নিয়ে এহেন প্রতিশ্রুতি কীভাবে দিলেন তিনি? বিরোধীদের দাবী, সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কেষ্ট এভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মানেই তিনি প্রভাবশালী। বলে রাখি, এর আগে এই প্রভাবশালী তত্ত্বের কারণেই খারিজ হয়েছে অনুব্রতর জামিন।