রাজ্য

নতুন চাল? ইডি-র থেকে আরও একটু সময় চাইলেন সুকন্যা, বাবার মুখোমুখি কি হতে চাইছেন না কেষ্ট-কন্যা?

গরু পাচার কাণ্ডে (cattle smuggling case) ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ইডির হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ইডি গ্রেফতার করেছে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও (Manish Kothari)। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mandal) একদফা জেলা করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই কারণে তাঁকে দিল্লির ইডি-র (Enforcement Directorate) দফতরে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তিনি তদন্তকারীদের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছেন বলে খবর সূত্রের। আগামী ২০শে মার্চ ফের সুকন্যাকে তলব করেছে ইডি।

তবে সুকন্যার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ২০শে মার্চও হাজিরা এড়িয়ে যেতে পারেন তিনি। সেদিনও অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই দিল্লি হয়ত যাবেন না সুকন্যা, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। আর সেদিনও যদি হাজিরা এড়িয়ে যান সুকন্যা তাহলে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যাবে।

আসলে তার ঠিক পরদিন অর্থাৎ ২১শে মার্চ অনুব্রতর ইডি হেফাজত শেষ হচ্ছে। এরপর তালে আদালতে পেশ করা হবে। আর আদালত যদি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়, তাহলে অনুব্রতর পরবর্তী ঠিকানা হবে তিহাড় জেল।

সূত্রের খবর, ২০শে মার্চ সুকন্যা যদি হাজিরা না দেন তাহলে ফের তৃতীয়বার তাঁকে তলব করবে ইডি। তবে তৃতীয়বারের নোটিশে যদি সুকন্যা হাজিরা দেনও, তাহলে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমনটা যদি হয়, তাহলে দুটো উদ্দেশ্য সফল হবে। এক, অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সুকন্যা হাজিরা এড়াতে পারলেন, আর দুই, অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সুযোগও পাবে না ইডি। সেই কারণেই কী কৌশল করেই এই হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন কেষ্ট-কন্যা? এমনই প্রশ্ন উঠেছে নানান মহলে।  

প্রসঙ্গত, ইডি সুকন্যাকে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় কারণ, এর আগে সুকন্যা নিজের বয়ানে সমস্ত দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন। তাঁর নামে থাকা সম্পত্তি, টাকা, চালকলের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবী করেছিলেন সুকন্যা। এও জানিয়েছিলেন যে এ বিষয়ে সব তাঁর বাবা জানেন। সেই কারণেই বাবা-মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি।

Related Articles

Back to top button