দূরত্ব এখন অতীত! সিউড়ি পুরসভার বৈঠকে শতাব্দী, বৈঠক করলেন অনুব্রত’র সঙ্গেও
বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের সময় তিনিও দল ত্যাগ করে বিজেপির সঙ্গে ধরবেন বলে তুমুল হাওয়া উঠেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তাঁর দলবদল আটকে দেওয়া যায়। তিনি শতাব্দী রায়।
যাঁর সঙ্গে মোটে বনিবনা নেই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। একাধিক সময় তাঁদের মধ্যকার দূরত্ব, বিরোধের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। বিভিন্ন সময়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে দল।
তবে এবার বোধহয় সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি’ হয়েছে! বরফ যে অনেকটা বলেছে এবার তার প্রমাণ মিলতে শুরু করেছে। এর পিছনে রয়েছে বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ফলাফল।
দলের একাংশ বলছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই এই দুই দুঁদে নেতা- নেত্রীর মধ্যে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা শুরু হয়েছিল। নির্বাচনের ফলাফল শাসক দলের পক্ষ যেতেই সেই পথ অনেকটাই মসৃন হয়েছে।
এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রায় তিন বছর পর সিউড়ি পুরসভায় গিয়ে পুরসভার বৈঠকেও হয়েছিলেন শতাব্দী রায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে সাংসদের দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্স ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে পুরকর্তৃপক্ষ ও সাংসদ শতাব্দী রায়ের মধ্যে যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল সেই ফাটল অনেকটাই কমেছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে এদিন। আর আজ সংবাদমাধ্যমে প্রশ্নের উত্তরে কার্যত এই দূরত্বের কথা অস্বীকার করেন শতাব্দী রায়।
এদিন শুধুমাত্র পুরসভার বৈঠকেই যোগ দেননি তিনি। জেলা বীরভূমের তিনটি বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন সাংসদ।
আরও পড়ুন-‘নন্দীগ্রামের হার মানতে না পেরে শুভেন্দুকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে’, মমতাকে তোপ দিলীপের
সেই সঙ্গে, জেলাশাসক, জেলার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও করোনা পরিস্থিতি সহ নানা বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। এদিন তিনি বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন। সিউড়িতে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে হয় এই বৈঠক।