‘ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে লজ্জা হয়’, ব্যারাকপুর শুটআউটের ঘটনার পর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অর্জুন সিং

ব্যারাকপুরের শুটআউটের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি বেশ টালমাটাল। মুহূর্তের মধ্যে সোনার দোকানের মালিকের ছেলের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও এলাকার মানুষদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
গত বুধবার ব্যারাকপুরের জনবহুল এলাকায় ভর সন্ধেবেলা এক সোনার দোকানে চলে ডাকাতি। গুলিবিদ্ধ হয়ে খু’ন হন মালিকের ছেলে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক আরও দুই। ডিসি সেন্ট্রাল, আশিস মৌর্য জানিয়েছেন, শফি খান ও জামশেদ আনসারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খড়দহের রহড়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শফি খানকে। আর বীরভূমের মুরারই থেকে গ্রেফতার হয়েছে আনসারি। পুলিশের কথায়, এরা ভাড়াটে খু’নি। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। বারাকপুরের পুলিশ কমিশন অলোক রাজোরিয়া আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুতই সব দুষ্কৃতীই ধরা পড়বে। এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
এই ঘটনায় আগে থেকেই পুলিশের গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ তুলে এসেছিলেন অর্জুন সিং। আর এবার ফের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ নিয়ে আক্ষেপ করলেন তিনি। বললেন, “অপরাধীরা নিরাপত্তা পাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ গুলি খেয়ে মরছে! জলজ্যান্ত নিরীহ ছেলেকে মেরে দিল! আমার নিরাপত্তা নিতে লজ্জা হয়। পুলিশ কম পড়লে আমি নিরাপত্তা ছেড়ে দেব”।
তাঁর আরও অভিযোগ, “জেল থেকে বসে ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জেল থেকে বসে এক বিরিয়ানির ব্যবসায়ীদের কাছে স্করপিও গাড়ি চাওয়া হচ্ছে, মোটা টাকা তোলা চাওয়া হচ্ছে। কখনও বাইরের জেল থেকে, আবার কখনও সেন্ট্রাল জেল থেকে। এদের যারা কালেক্টর তাদের গ্রেপ্তার করলেই আসল মাথা পাওয়া যাবে। পুলিশকে তিন মাস আগে বলেছি, এদের ধরতে। পুলিশ মাথা ধরতে গিয়ে এরা পার পেয়ে যাচ্ছে”।