‘লিটল জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতায় অঙ্কে ১০০-তে ১০০! বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল বালুরঘাটের অর্পিতা

‘লিটল জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতায় অঙ্কে ১০০-তে ১০০ পেল বালুরঘাটের অর্পিতা। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে নিজের মা-বাবা, এলাকার নাম উজ্জ্বল করল সে। গত রবিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে তাকে সম্মানিত করা হয়েছে।
ছোটো থেকে পড়াশোনায় খুব ভালো অর্পিতা। সব সময় তার চেষ্টা ছিল কিছু একটা করবে। নিজেই তাই উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষা মিশন পরিচালিত রাজ্যব্যাপী পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত হওয়া ‘লিটল জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় সে। গত বছর জুলাই মাসে হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা।
অর্পিতার কথায়, কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিযোগিতার ফলাফল জানতে পারে সে। স্কলারশিপ ইন ইন্ডিয়া নামের একটি গ্রুপকে ফলো করত অর্পিতা। সেখানেই এমন প্রতিযোগিতার বিষয়ে প্রথম জানতে পারে সে। ‘লিটল জিনিয়াস’ ছাড়াও বৃত্তি পরীক্ষা, অলিম্পিয়াড পরীক্ষাও দিয়েছিল সে। তবে গোটা রাজ্যে যে সে অঙ্কে ১০০-তে ১০০ পেয়ে সেরার স্থান অধিকার করবে,তা ভাবতে পারেনি অর্পিতা।
বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা অর্পিতা। বাবা অসীম কুমার ঘোষ গ্রন্থাগারের কর্মী। মা সাধারণ গৃহবধূ। ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে অর্পিতা বরাবরই মেধাবী ছাত্রী। বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলে পড়াশোনা করে সে। গত বছরও এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল অর্পিতা। কিন্তু সেবার কোনও স্থান পায়নি। তবে এবার ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েই ময়দানে নেমেছিল সে। আর তার ফলও পেল হাতেনাতেই।
মেয়ের এই সাফল্যে খুব গর্বিত বোধ করছেন অসীমবাবু। তিনি জানান যে ছোটো থেকেই অর্পিতা পড়াশোনায় খুব মনযোগী। তিনি এও জানান যে ভবিষ্যতে যাতে অর্পিতা এমন আরও সাফল্য পায়, তার জন্য মেয়েকে সবরকম সাহায্য করবেন তিনি। পাশে থাকবেন মেয়ের। অর্পিতার এই সাফল্যে খুশি তার স্কুলের শিক্ষিকারাও। শুধু পড়াশোনাই নয়, নাচ, গান, আবৃত্তিতেও পটু অর্পিতা।