হঠাৎ ছন্দপতন, সরে দাঁড়ালেন বাবুল, সাফ জানিয়ে দিলেন আর কাজ করবেন না, তৃণমূলের পাঠও কী চুকল গায়কের?

তাঁকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। নানান সময় নানান খবরের মাধ্যমে শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। তাঁর রাজনৈতিক জীবন বিগত বেশ কিছু সময় ধরেই বেশ টালবাহানার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছিল। একুশের নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে নানান মতানৈক্য শুরু হয় বাবুল সুপ্রিয়র।
এরপর গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানিয়ে দেন যে তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন। পাশাপাশি তিনিএও জানিয়ে দেন যে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন না তিনি।
কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সন্ন্যাসী দশা শেষ হয় বাবুলের। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়ে মমতার শিবিরের সৈন্য হন তিনি। এরপর ভালোই চলছিল তাঁর রাজনৈতিক জীবন। কিন্তু এরই মধ্যে জানা গেল তিনি নাকি আর কাজ করবেন না। সরে এলেন বাবুল।
কিন্তু কোথা থেকে সরে এলেন তিনি? কী কাজ আর করবেন না? তবে কী এবার তৃণমূলকেও বিদায় জানাবেন গায়ক? এমন নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে পরে অবশ্য গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হল।
গায়ক ও রাজনীতিবিদের পাশাপাশি বাবুল যে অভিনয়ও করেন, তা সকলেরই জানা। ২০০৭ সালে তরুণ মজুমদারের ‘চাঁদের বাড়ি’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে পা রেখেছিলেন তিনি। এরপর সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘উমা’ বা ‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এ ছোটোখাটো পার্শ্বচরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এরপর তাঁকে আর সেভাবে পর্দায় দেখা না গেলেও সম্প্রতি শোনা যায় যে বন্ধু রাজ চক্রবর্তীর কথাতেই নাকি ছোটো পর্দায় মুখ্য চরিত্রে পা রাখতে চলেছেন তিনি। কিন্তু যেমন ভাবা, তেমন আর কাজ হয় কোথায়! শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত থেকেই সরে এলেন বাবুল।
আসলে রাজনৈতিক জীবনের ব্যস্ততা সামলে মাসে ২২-২৩ দিন শুটিংয়ের জন্য সময় দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। এই কারণেই তিনি অভিনয়ে ‘না’ করে দিয়েছেন। তবে সমালোচকদের কথায়, ধারবাহিক নির্মাতাদের নাকি বাবুলের অডিশন পছন্দই হয়নি। এই কারণে বাদ পড়েছেন তিনি। এই ধারাবাহিকের জন্য অন্য কোনও মুখের খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।