বাঙালির ক্ষেত্রেও হোক ভূমিপুত্র সংরক্ষণ! আবেদন জানিয়ে শ্রমমন্ত্রীকে স্মারকলিপি জমা দিল বাংলা পক্ষ
বাংলায় দাঁড়িয়ে যখনই বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদেরকে অপমানিত, বঞ্চিত হতে হয়েছে তখনই তাদের স্বার্থে এগিয়ে এসেছে বাংলা পক্ষ। বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিরা নির্দ্বিধায় বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছেন তাদের অবাঙালি কর্মী চাই। তাই এবার তাদের এই অসাংবিধানিক এবং জাতি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল বাংলা পক্ষ। তাদের দাবি অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও সমস্ত বেসরকারি চাকরি- ঠিকা কাজ – টেন্ডার – লাইসেন্সে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করা হোক।
কিছুদিন আগে এক কনসালটেন্সি অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে থানায় মামলা রজু করে ছিল বাংলা পক্ষ। বাংলার মাটিতে রমরমিয়ে ব্যবসা চালাবে অথচ বাঙালিদেরই কাজে নেবে না এ কেমন কথা? যে রাজ্যের ৮৬% মানুষই বাঙালি সেখানে বাঙালিদের চাকরি হবে না? সম্প্রতি ভারতের একটি জনপ্রিয় ই- কমার্স সংস্থা আমাজন ২০,০০০ কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে নিজের পছন্দের ভাষার স্থানে হিন্দি, ইংরাজী ছাড়াও তামিল, তেলেগু থাকলেও স্থান পায়নি বাংলা। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী বাংলার কোনো মূল্য নেই আমাজনের কাছে। আমাজনের পছন্দের ভাষার তালিকায় বাংলাকে ঢোকাতে এবং বাংলায় চাকরির ক্ষেত্রে ৯০% ভূমি সংরক্ষণের দাবি তুলে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক মহাশয়ের কাছে আবেদন জমা দেন বাংলা পক্ষ।
এমনিতেই করোনার জেরে বহু মানুষের কাজ চলে গেছে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলোতে সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ ভূমি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া অনেক রাজ্যে তা আগে থেকেই বহাল রয়েছে। কিন্তু বাংলাতে এমনটা হয় না। বরং অন্য রাজ্য থেকে এসে মানুষজন বহাল তবিয়তে এখানে চাকরি করছে, ব্যবসা করছে এবং বাঙালিদের চাকরির ওপর ভাগ বসাচ্ছে। তাই তারা আবেদন করেছেন, ‘যে সমস্ত মানুষ ভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন তাদের এখানেই যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। শুধু তাই নয় বাংলাতেও সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে যেন ৯০% ভুমিসংরক্ষনের ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার।’
বাংলা পক্ষের তরফে জানা গেছে, ‘মাননীয় মন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।’