‘তাঁর দল জিতলেও, তিনি হেরেছেন, মুখ্যমন্ত্রী হতে লজ্জা করে না’, মমতাকে বেলাগাম আক্রমণ বিপ্লবের
নৈতিক ও দায়িত্ববোধ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একেবারেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত হয়নি। কারণ তাঁর দল নির্বাচন জিতলেও, তিনি নিজে হেরে গিয়েছেন। সম্প্রতি, ত্রিপুরার আগরতলার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
শুধু তাই-ই নয়, পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী যে হিংসা শুরু হয়েছে, এর প্রতিবাদে টানা দু’দিন গোটা দেশের সঙ্গে ত্রিপুরায় প্রত্যেক মণ্ডলে করোনার সুরক্ষা বিধি মেনেই ধিক্কার জানাবে বিজেপি, এমনটাই জানান তিনি। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় ত্রিপুরার প্রত্যেক বিজেপি কার্যকর্তা নিজের নিজের বাড়িতে পাঁচটি করে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ভোটে হেরেই পুরনো দলে ওয়াপসি! তৃণমূলে ফিরতে চান এই প্রভাবশালী বিজেপি নেতা, ফোন মমতাকে
বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে এভাবেই গর্জে উঠবে ত্রিপুরা, এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন বাংলায় তৃণমূলের জয়ের জন্য অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর যেভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, তাদের খুন করা হচ্ছে, এই ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, “অসমে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু, একটি ও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। ত্রিপুরায় ২০১৮ সালে নির্বাচনের পর দীর্ঘ বছরের সন্ত্রাসের সংস্কৃতি বন্ধ হয়েছে। নির্বাচনের পর বিজয় মিছিল হওয়া উচিৎ, খুন নয়। তাই, পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সারাদেশ প্রতিবাদ জানাচ্ছে”।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত বিজেপি কার্যকর্তাদের পাশে রয়েছে গোটা দেশ। তাই, ত্রিপুরা ও সারা দেশের সাথে প্রতিবাদে গর্জে উঠবে বলে স্থির করেছে। এমন অনেকেই নির্বাচনে না লড়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং হেরেছেন। নন্দীগ্রামবাসী মমতার পক্ষে রায় দেননি”।
ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যে সন্ত্রাস কমিউনিস্ট পার্টির লোকেরা করেছিল সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে সেটা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন”।
প্রতিমা ভৌমিক আরও বলেন, “গত ২ মে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তাদের উপর আক্রমণ চলছে, হত্যা করা হচ্ছে, বিজেপি পার্টি অফিস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাড়িঘর লুটপাট করা হচ্ছে যেটা আমরা ভারত-বাংলাদেশ ভাগ হওয়ার পড়ে দেখেছি আমরা তো সেটা তখন প্রত্যক্ষ করিনি কিন্তু বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে, পত্র পত্রিকার মাধ্যমে,বিভিন্ন বই থেকে আমরা সেটা সংগ্রহ করছি। সেটা আজকে নতুন করে পশ্চিমবাংলায় শুরু হয়েছে”।