চোপড়া কান্ড: অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে গড়িয়াহাটে প্রতিবাদ বিজেপি মহিলা মোর্চার, মিছিল আটকাল পুলিশ

১৬ বছরের মাধ্যমিক উত্তীর্ণা এক কিশোরীর গণধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগে গতকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় এই ঘটনা ঘটার পর থেকেই এলাকাবাসীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। গণধর্ষিতা কিশোরীর স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতির বোন বলে জানা গিয়েছে। তাই বিরোধী শিবির এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে রীতিমত গর্জে উঠেছে। ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেক দূর। যদিও রাজ্য পুলিশ এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছে কিন্তু এলাকাবাসীরা বলছেন ঘটনা অন্য।
গতকাল থেকেই বিজেপির বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেছিলেন। আজ বিকালে গড়িয়াহাট মোড়ে বিজেপি মহিলা মোর্চা সদস্যারা প্রতিবাদ করেন যার নেতৃত্বে ছিলেন মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। প্রথমে গড়িয়াহাট থেকে দেশপ্রিয় পার্ক পর্যন্ত মিছিলের পরিকল্পনা থাকলেও গড়িয়াহাট মোড়ে মিছিল শুরু হতেই পুলিশ আটকে দেয় এবং জানায় যে এই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না। তখন অগ্নিমিত্রার নেতৃত্বে গড়িয়াহাট মোড়ে মহিলা মোর্চার সদস্যরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন।
অগ্নিমিত্রা ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়েছিলেন যে, অভিযুক্তের ফাঁসি চাই, তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। আজ তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে স্পষ্ট বললেন, “এই রাজ্যে মহিলারা কোন রকম ভাবেই সুরক্ষিত নয়। আজ যেটা ওই কিশোরীর সঙ্গে হয়েছে সেটা কাল আপনাদের বাড়ির কারোর সঙ্গে হবে। পুলিশ মিছিলের অনুমতি দিচ্ছে না ঠিকই কিন্তু তারাও তো রক্ত মাংসের মানুষ তারাও কারোর বাবা, কারোর কাকা, কারোর দাদা। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের হাত-পা বেঁধে রেখেছে। ওই কিশোরীকে তার বাড়ি থেকে বেশকিছু দূরের মাঠে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায়, পাশে দুটি মোবাইল ফোন, একটি সাইকেল এবং বিষের বোতল পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ভোরবেলা গ্রামের অন্য মহিলারা ওই কিশোরীকে যখন দেখেন তখন সে গোঙাচ্ছে। আর পুলিশ কিনা এটা আত্মহত্যা বলছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষা তো দিতেই পারেন না এমনকি স্বাস্থ্যব্যবস্থাতেও কোনও সুরক্ষা নেই।” স্পষ্টতই অগ্নিমিত্রার গলায় তখন ক্ষোভ ঝরে পড়ছে।
এছাড়াও তিনি পুলিশি ব্যবস্থাকেও একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, “আমরা প্রতিবাদ মিছিল করতে চাইলেও পুলিশ তো আমাদেরকে প্রতিবাদ করতেই দেবে না কারণ মিছিল শুরু হলেই পুলিশ আমাদেরকে গরু-ছাগলের মতো তুলে নিয়ে গিয়ে ভ্যানে ভরবে। আমরা করোনার শিকার হতে পারি তাই আমি পুলিশকে বলেই রেখেছি যে আমাদের কারোর করোনা হলে আপনারাই দায়ী হবেন।”
প্রসঙ্গত, বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ তার বাসভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে শাসকদলের অত্যাচারের বিবরণ দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন।