West Bengal

হনুমান জয়ন্তীতে কোনও অশান্তি হলে দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী, হুঁশিয়ারি বিজেপির, পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে তোপ তৃণমূলের

বিজ্ঞাপন

হাওড়া-রিষড়ায় রামনবমীর অশান্তি নিয়ে রাজ্য এখন উত্তাল। সেই রেশ না কাটতেই এবার হনুমান জয়ন্তী নিয়ে বড় দাবী করল বিজেপি। তাদের হুঁশিয়ারি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো বাদ দিয়ে হনুমান জয়ন্তীতে যাতে কোনও হিংসা না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য দেওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। গেরুয়া শিবিরের দাবী, হনুমান জয়ন্তীতে যদি কোনও অশান্তি হয়, তাহলে এর জন্য দায়ী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজ্ঞাপন

হাওড়ার শিবপুরে রামনবমীর মিছিলে সুমিত সাউ নামের এক যুবকের হাতে দেখা গিয়েছে অস্ত্র। তৃণমূলের দাবী, সুমিত বিজেপি ঘনিষ্ঠ। আবার বিজেপির পাল্টা দাবী, সুমিত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। তাঁকে মিছিলে পাঠিয়ে গ্রেফতার করিয়ে বিজেপিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।

বিজ্ঞাপন

সুমিতের পরিবারের একটি ভিডিও পোস্ট করে টুইট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর দববী, “এভাবে প্রতারণামূলক পদক্ষেপ করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। দানবীয় আইনে মিথ্যা অভিযোগ চাপানোর কাজ বন্ধ করে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন”।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, “অশান্তির জন্য উনি একা দায়ী থাকবেন”। এর পালটা দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজা বলেন, “বাংলায় শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি। অশান্তির জন্য হনুমান জয়ন্তীকে ব্যবহার করতে পারে বিজেপি”।

বিজ্ঞাপন

হনুমান জয়ন্তী নিয়ে নানান নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে। কলকাতা পুলিশের তরফে সাফ নির্দেশ, কোনও মিছিলেই কোনও লাঠিসোটা, বর্শা, তলোয়ার, আগ্নেয়াস্ত্র বা কোনও অস্ত্রই বহন করা যাবে না। মিটিং-মিছিলের জন্য এবার অনলাইনেই আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে লালবাজারের তরফে। রাজনৈতিক দল বা নানান সংগঠনগুলি কীভাবে এই আবেদন করবে, তা নিয় সাহায্য করবে কলকাতা পুলিশ।

আগামীকাল, হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে শহরে বেশ কিছু শোভাযাত্রা হতে পারে। হাওড়া ও রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেদিকে কড়া নজর দেবে পুলিশ। সেই কারণে হনুমান জয়ন্তীর আগেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিছিলের রুট এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে কোনও প্ররোচনা না হয়।

বলে রাখি, সাধারণত কোনও জনসভা বা মিছিলের জন্য আবেদন করে লালবাজারে চিঠি দিতে হয়। তবে এবার থেকে সেই আবেদন করা যাবে অনলাইনেই। এর জন্য কোনও সংগঠন বা রাজনৈতিক দল কোথা থেকে মিছিল শুরু করে কোথায় শেষ করবে বা কোথায় কোনও সভার আয়োজন করবে, তা বিস্তারিত ভাবে জানাতে হবে অনলাইন ফর্মের মাধ্যমে। কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইটেই মিলবে সেই ফর্ম। সেই ফর্ম ভর্তি করে পাঠানো যাবে অনলাইনে, এমনটাই জানা গিয়েছে।

বিজ্ঞাপন
Back to top button

Discover more from Khabor24x7

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading