সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার কাজ থমকে আছে জমি জটে। দিলীপ ঘোষের নিশানায় বঙ্গ শাসিকা!
একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততোই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। একে অপরের দোষ ত্রুটি ধরা থেকে শুরু করে রং বদল, দল বদল লেগেই রয়েছে। আরও একবার ফের তাই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)।
শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগর (Barahnagar) আলম বাজারে চা চক্রে যোগ দিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায় ‘রাজ্যে রেলের উন্নয়ন মূলক প্রকল্প থেকে সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার কাজ থমকে আছে জমি জটে। রাজ্য সরকার কোনও ভাবে জমি দিতে চায় না, উন্নয়ন হবে কি করে ?’
দিলীপ ঘোষের আরও অভিযোগ, “জমি দিতে চায় না বলেই রাজ্যে নতুন কোনও শিল্প কারখানা আসছে না। সবই আটকে জমি জটে। রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজে পাচ্ছেন না, তারা ফের ভিন রাজ্যে ফিরে যেতে চাইছেন । রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দিতে পারেনি ।” একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিশানা করে এই বিজেপি নেতা বলেন, “তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু পাথর পুঁতে রেখেছিলেন, আর কিছু করেননি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতা দেখিয়ে রাজ্যের পুরসভাগুলির নির্বাচন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আটকে রেখেছেন বলেও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ।
নিজের বক্তব্যে দিলীপ আরও জানান, “মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছে করে আগস্ট মাসের শেষ দিন লকডাউন ডেকে জয়েন্টের পরীক্ষা আটকে দিয়েছেন। বাংলার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত অন্ধকার করে দেওয়া হয়েছে ।”
এদিন বঙ্গ বিজেপি কান্ডারীর গলায় আরও শোনা যায় “বাংলায় ১২ মাসে ১৩ পার্বন। তবে এত উৎসবের মধ্যে ভোট উৎসব এখনো হয়নি। যদিও ভোটের দামামা বেজে গেছে। করোনা আবহে যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করছে, তাদের অনেকের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, অনেকে মারা গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীজি তাঁদের সম্মানে দেশবাসীকে বলে ছিলেন ঘণ্টা বাজান, তালি বাজান। করোনা যোদ্ধাদের সম্মানে প্রধানমন্ত্রী বিমান থেকে পুষ্প বৃষ্টি করে ছিলেন। সেটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দ হয়নি। তিনি এখানে করতে দেননি। জানি না উনার ফুলে কি অ্যালার্জি আছে ? কিছু দিতে না পারুক, করোনা যোদ্ধাদের সম্মানটুকু তো দিক।”