কল্যাণপুরে ধুন্ধুমার! আম গাছ থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত বিজেপি কর্মীর দেহ, ক্ষোভে তৃণমূল অফিস ভাঙচুর গেরুয়া সমর্থকদের
আম গাছ থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত বিজেপি কর্মীর দেহ। তৃণমূল খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে এই অভিযোগে তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কল্যাণপুর। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে গ্রামবাসীরা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের কোনও যোগ নেই।
উল্লেখ্য, পঞ্চম দফার ভোট মিটতে না মিটতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার কল্যাণপুরের কামার পাড়ার বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আম গাছে ওই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁকে পিটিয়ে খুন করার পর মৃতদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন- ফের করোনার জেড়ে রাজ্য জুড়ে বন্ধ হতে চলেছে স্কুল
মৃতের নাম অখিল প্রামানিক। তার দাদা দেবু প্রামানিক জানিয়েছেন, অনেক রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল অখিল। এরপর সকালে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখা গেছে বলে খবর আসে। সেখানে গিয়ে দেখি ছোট একটি আম গাছে অখিলের মৃতদেহ ঝুলছে। পা মাটিতে ঠেকে রয়েছে। গলায় দড়ি দিয়ে এভাবে আত্মহত্যা হতে পারে না। ওঁকে খুন করা হয়েছে।
কালনার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু বলেন, মৃতদেহে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার দাগ রয়েছে। মাটিতে রক্তের চিহ্ন রয়েছে।আমরা নিশ্চিত আমাদের এই সক্রিয় কর্মীকে খুন করার পর মৃতদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত বুঝে সেই হতাশা থেকেই এই খুন।
আরও পড়ুন- ভোটপ্রচারে ‘বহিরাগত’-দের নিয়ন্ত্রণ করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী’র
এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই, মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরেই ওই কর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারই বহিঃপ্রকাশ এই খুন। হুমকির ঘটনায় জড়িত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করা না হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ পুলিশের হাতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় বিজেপি। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুর হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
যথারীতি বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।