দাবী ন্যায়বিচারের! রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানাতে দিল্লির উদ্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা
ন্যায়বিচারের জন্য এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে চলেছেন ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী ও তাদের পরিবার। গতকাল, মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়া স্টেশন থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে করে নিউ দিল্লির উদ্দেশে রওনা সেই বিজেপি কর্মীরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন বিকেলে প্রায় ৪০জন বিজেপি কর্মীর একটি দল রওনা দেয় দিল্লির উদ্দেশ্যে। বীরভূম থেকে শুরু করে হুগলি, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুরের নানান বিজেপি কর্মীর পরিবার এই দলে রয়েছে বলে খবর।
তারা অভিযোগ করেছেন যে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরই তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। ভাঙচুর করা হয় তাদের বাড়ি। কারোর বাড়িতে তো আগুন লাগিয়েও দেওয়া হয়। তাঁদের পরিবারের বেশ কয়েকজনকে খুনও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
তাঁরা আরও জানান যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে। তদন্ত করছে আধিকারিকরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও দলের নির্দেশে বিজেপি কর্মীরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে জানান তারা।
তাদের কথায়, তারা রাষ্ট্রপতিকে সবটা খুলে বলবেন। ন্যায়বিচারের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানাবেন তারা। তাদের আশা তারা ন্যায়বিচার পাবেন। তারা এও প্রশ্ন তুলেছেন যে কোনও বিরোধী দলকে সমর্থন করা কী অপরাধ? এভাবে আর কতদিন চলবে? বিরোধী দলের সমর্থক বলে কেন তাদের বাড়ি ভাঙচুর হবে বা খুন করা হবে? তারা জানান যে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এই দলেরই একজন সুমিত্রা মণ্ডল। তিনি বলেন, “আমরা সুবিচার চাইতে যাচ্ছি, যেন পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে৷ সেই রাতের কথা ভেবে আমরা এখনও আতঙ্কিত এবং ভীত৷ আমার মেয়ের বিয়ে সামনে৷ জানি না আদৌ সেটা হবে কিনা৷ সবসময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা অত্যাচার করে চলেছে৷ ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে যাচ্ছে এখনও”।
এই দলের আরও এক সহযাত্রী সঙ্গীতা যাদবের কথায়, “আমার স্বামী বিজেপি করতেন বলে আমার বাড়িতে বোমা মারে তৃণমূলের লোকজন৷ আমরা খুব ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি৷ এই ভাবে কত দিন থাকব৷ সাহায্যের জন্যই দিল্লি যাচ্ছি৷ সেখান থেকে সুবিচার পাব বলেই আশা করি৷ আমি অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই”।