রাজ্য

দুর্নীতিকে সমর্থন মমতা সরকারের! এসএসসি-তে কারোর চাকরি বাতিল হোক, সরকার তা চায় না, বেআইনি নিয়োগ হলেও নয়, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

স্কুল সার্ভিস কমিশনে যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, বা মেধা তালিকার ক্রম ভেঙে যাদের চাকরি হয়েছে, তাদের চাকরি বাতিলের পক্ষে নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একথা গতকাল, মঙ্গলবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি এও জানান যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে ব্রাত্য বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না কোনও ব্যক্তির কাজ চলে যাক। কারণ তাতে তাঁরা শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, তাঁদের পরিবারের উপরে বিপর্যয় নেমে আসবে। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও চান না যে কোনও যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হোক। তাই কেউ যাতে বঞ্চিত না হন সেজন্য ৫,২৬১টি শূন্য পদ তথা সুপার নিউমেরি পদ তৈরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”।

শিক্ষামন্ত্রী জানান যে এসএসি-র তরফে কলকাতা হাইকোর্টে দুটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। একটি হল, বেআইনিভাবে বা মেধা তালিকার ক্রম ভেঙে চাকরি পাওয়ার জন্য যারা ভুক্তভোগী হয়েছেন বা যাদের নাম ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে, সরকার তাদের চাকরি দিতে প্রস্তুত। এর জন্য সরকারকে প্রায় ৩ হাজার গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদ তৈরি করতে হবে। অন্যদিকে, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য ৩ হাজার ও আড়াই হাজার শিক্ষকের শূন্যপদ তৈরি করতে হবে।

আদালতে যে দ্বিতীয় প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে তা হল, আদালত যদি চায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল করে ওয়েটিং লিস্টে বা মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীদের চাকরির বন্দোবস্ত করতে, তাহলে সরকার সেই নির্দেশও মেনে নেবে।

এই বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সরকার জানে ব্যতিক্রমী ভাবে পাওয়া অর্থাৎ টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ বাতিল হলে তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রীর কলারে হাত পড়বে। তাঁদের বাড়ি ঘেরাও হবে, রাস্তাঘাটে হেনস্থাও হতে পারেন। সেই কারণেই তাঁদের চাকরি বাঁচাতে এখনও মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে আদালতের উপর আমাদের ভরসা আছে”।

Related Articles

Back to top button