বাংলায় টেস্টিং কিটের মারাত্মক অভাব, অভিযোগ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। দাবি ন্যাসাৎ করল আইসিএমআর
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত বাংলায় করোনা টেস্টের সংখ্যা ২৫২৩। কেনও এই সংখ্যা কম, সে সম্পর্কে সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা শোনা গেছিল, পর্যাপ্ত টেস্ট কিট নাকি নেই বাংলায়। কিন্তু একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইসিএমআর-নাইসেডের ডিরেক্টর ডক্টর শান্তা দত্ত এই অভিযোগকে ন্যাসাৎ করে জানান, কিটের কোনও অভাব নেই। এই মুহূর্তে বাংলায় ২৭ হাজার ৫০০ টেস্ট কিট রয়েছে। কিন্তু গত তিন দিনে মাত্র ১৮টি, ৯টি এবং ২০টি স্যাম্পেল এসেছে পরীক্ষার জন্য, যেটা বাংলার মতো জনবসতিপূর্ণ রাজ্যের ক্ষেত্রে খুবই কম।
শুধু লকডাউনেই হবেনা, করোনার হাত থেকে বাঁচতে হলে সবচেয়ে জরুরি, সেটা হল টেস্টিং, টেস্টিং অ্যান্ড মোর টেস্টিং। প্রথম থেকেই এমনটা বলে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। কিন্তু এ দেশে সেই টেস্টিং যথেষ্ট পরিমাণে হচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের তালিকায় নাম রয়েছে বাংলারও।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থার আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান ডা.শান্তা দত্তের কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরও অনেক বেশি সংখ্যায় টেস্ট করার। সেটাই হওয়া উচিত। কেনও সেটা হচ্ছে না, আমি জানি না। আমাদের টেস্ট কিট কখনওই কম ছিল না। এই মুহূর্তে বাংলায় ২৭ হাজার ৫০০ কিট আছে।’
ডক্টর শান্তা দত্ত-র কাছে জানতে চাওয়া হয় কিট যথেষ্ট থাকলে এ রাজ্যে টেস্টের সংখ্যা এত কম কেন? তাঁর স্পষ্ট উত্তর ‘এটা আমার পক্ষে বলা কঠিন। আমি এটাই বলতে পারি, এ রাজ্যের জনঘনত্বের তুলনায় টেস্ট খুব কম। কিন্তু বিষয়টি রাজ্য সরকারের দায়িত্বে রয়েছে। ফলে টেস্ট কত হবে, সেটা তাঁদেরই সিদ্ধান্ত। প্রথম প্রথম প্রতিদিন ৮০-৯০ নমুনা পাচ্ছিলাম টেস্ট করার জন্য। শেষ তিন-চার দিনে কমে গেছে। ১৮, ৯, ২০টা করে স্যাম্পেল আসছে। এর কারণ আমি জানি না। এটা রাজ্যই বলতে পারবে।’
ডক্টর দত্ত আরও বলেন, সম্প্রতি দেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আরও বেশি করে করোনা টেস্ট করানো হবে। শুধু করোনা সন্দেহে বা গুরুতর অসুস্থ থাকলে নয়, যে কোনও মানুষের সামান্য উপসর্গ বা ফ্লু পেলেই তাঁকে করোনা পরীক্ষা করে দেখা হবে। কিন্তু বাংলায় করোনা পরীক্ষার সংখ্যা খুবই কম।