কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়! সেক্সচ্যাটের নেশা আসিফের, চলত ব্ল্যাকমেলও, ল্যাপটপ থেকে উদ্ধার অশ্লীল ভিডিও
জেরা যত এগোচ্ছে, তত যেন ঘটনার মোড় নানান দিকে বাঁক নিচ্ছে। কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডের মূল পাণ্ডা মহম্মদ আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া নানা সামগ্রী পরীক্ষা করে নানান নতুন তথ্যের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি।
সেই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই জানা গিয়েছে, সেক্সচ্যাটের নেশা ছিল আসিফের। তাঁর ল্যাপটপ থেকে একাধিক অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার হয়েছে। সেখানে তাঁর দাদা আরিফের তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে কাটানো কিছি অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও রয়েছে। অনুমান, সেসব দেখিয়েই সে তাঁর দাদাকে ব্ল্যাকমেল করত ও এভাবেই নিজের কুকীর্তি আড়াল করে রাখত। এই গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চাত পুলিশ।
কারোর ধারণা, বেশ ঠাণ্ডা মাথাতেই সুপরিকল্পিতভাবেই মা, বাবা, দিদা ও বোনকে খুন করেছেন আসিফ। আবার অনেকের মতে, তাঁর মগজধোলাই করা হয়েছিল। এই কারণেই তাঁর মধ্যে অপরাধপ্রবণতা বাসা বাঁধে। এও জানা গিয়েছে যে, আসিফের আচার-আচরণেও ইদানিং বদল আসে।
আরও পড়ুন- শেষরক্ষা হল না! ভেন্টিলেশনে প্রসবের পরদিনই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন কলকাতা মেডিক্যালের সেই করোনা রোগী
জানা গিয়েছে, সেক্সচ্যাটে বুধ্যে থাকত আসিফ।, এই কাজে নিজের দাদাকেও জড়ায় সে। নিজের বোনের এক বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর দাদ আরিফের কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি দেখিয়ে দাদাকে ব্ল্যাকমেল করত সে। এও জানা গিয়েছে যে আসিফ বাড়ির কারোর কথা শুনত না। পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করত। এমনকি, অশান্তি করে দাদা আরিফের মেডিক্যাল পড়ার কোচিংও নিতে দেয়নি আসিফ। আজ, মঙ্গলবার আদালতে নিজের গোপন জবানবন্দী দেওয়ার কথা রয়েছে আরিফের।
আসিফের সঙ্গে কোনও ইসলাম জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে কী না, তা-ও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে সিআইডি। এদিকে জানা গিয়েছে, কালিয়াচকের বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃতদেহগুলিতে এখনও পচন ধরেনি। তবে কী তা অ্যাসিড বাথে রাখা হয়েছিল? আসিফ কী তবে দীর্ঘদিন ধরেই এই খুন করার পরিকল্পনা করছিল? এই কারণেই কী আগাম অ্যাসিড বাথের ব্যবস্থা? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা।