ভোটার লিস্ট ধরে তালিকা করেছে নাকি? দক্ষিণ ২৪ পরগনার কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা দেখে রেগে কাঁই মুখ্যমন্ত্রী!
আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বেড়ে খেলেছে। এভাবে হবে না।’ এই তালিকা তিনি পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেন। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগণার কনটেনমেন্ট জোন কোনগুলি, তার ঘোষণা বুধবার হয়নি।
তবে ১৪ দিন নয়, রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনে সাতদিনের লকডাউন কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। পরে অবশ্য লকডাউন বাড়বে কি না, তা পরিস্থিতি বিচার করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বুধবার নবান্ন থেকে এই কথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানান বড় এলাকা নয়, বরং ঠিকানা-রাস্তা না ধরে ছোট ছোট এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। এদিন তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা দেখে একরাশ বিরক্তি ঝরে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন ‘বেড়ে খেলেছে। এভাবে হবে না।’ এই তালিকা তিনি পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন কার্যকর করার কথা স্থির ছিলো। কোন কোন এলাকা কনটেনমনেন্ট জোন হবে, বুধবার তারও তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন সেই তালিকা হাতে পান মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগণার তালিকা দেখে প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, “কে তালিকা করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার? এটা কি ভোটার লিস্ট ধরে করেছে নাকি? একটু বেড়ে খেলেছে। ঘরে বসে টুকে দিয়েছে।” সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেন, “এভাবে হবে না। এটা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। জেলার মানচিত্র ও কেসস্টাডি ধরে রিভিউ করতে হবে।” জানা গিয়েছে, ওই তালিকায় সোনারপুর, রাজপুর, বারুইপুর ও ডায়মন্ড হারবারের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের নাম ছিল। ফলে গোটা এলাকায় লকডাউন করতে হত। আর এর ঘোর বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অবস্থা বেগতিক দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন রাজীব সিনহা। কিন্তু তাতেও মুখ্যমন্ত্রী কান দেননি। তাঁর সাফ কথা, “দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আগে কেস স্টাডি হবে তারপর তালিকা। দরকার হলে কাল বিকেলের পর তালিকা দেবে। কিন্তু আগে ভাল করে দেখে তারপর।” কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার তালিকা দেখে প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা তো খেটে লিস্ট করেছে।”