রাজ্য

বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে জাতীয় তফসিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান, নতুন বিতর্ক রাজ্য রাজনীতিতে

বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিলেন জাতীয় তফসিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। এই নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

নয়া দিল্লিতে নিজের দফতরে বসেই রাজ্য বিজেপির বৈঠকে যোগ দেন অরুণ হালদার। নিজেই সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। আর এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সরকারি আধিকারিক হয়ে কী করে তিনি একটি দলের বৈঠকে যোগ দিলেন, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন- আমফানের পুনরাবৃত্তি! সাইক্লোন যশের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে গাদাগুচ্ছের ভুয়ো আবেদনপত্র, চলছে বাছাই

তবে তৃণমূলের এই প্রশ্নের পাল্টা জবাব দিয়েছেন অরুণ হালদার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অরুণ হালদার রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক ছিলেন, যা আগে তিনি কখনও প্রকাশ করেননি। শুধু তাই-ই নয়, তিনি আবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এখন তিনি জাতীয় তফসিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান, তাই এখন তিনি বিজেপির কোনও বৈঠকে যোগ দিতে পারেন কী না, এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

এই বিষয়ে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করে বলেন, “কে এই অরুণ হালদার?‌ যিনি বিজেপির বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন নয়াদিল্লি থেকে। তিনি কি ন্যাশনাল এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান? যদি তাই হয়, তাহলে দেখুন বিজেপি কিভাবে মিথ্যা গল্প তৈরি করে বাংলাকে বদনামের চেষ্টা করছে”।

আরও পড়ুন- নামেই কার্যকারিণী বৈঠক, বৈঠকে কিছু বলার সুযোগই পেলেন না বিজেপির রাজ্য নেতারা 

এই বিষয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছেন অরুণ হালদারও। তাঁর কথায়, “এই কমিশনে যাঁরা এখনও পর্যন্ত নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা কোনও না কোনও রাজনৈতিক দল থেকে এসেছেন। তাছাড়া এই কমিশনে থাকলে রাজনীতিতে থাকতে পারবে না এমন কোনও কথা সংবিধানে লেখা নেই। আমি এখানে আসার পর আমার পুরনো রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনের কাজ করিনি। আমার নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি। দলের পদেও ইস্তফাপত্র দিয়েছি। আর আমি অভ্যন্তরীণ বৈঠকে অংশ নিয়েছি। কোনও বক্তব্য রাখিনি”।

Related Articles

Back to top button