ফোনে অর্ডার করলেই ‘দুয়ারে চোলাই ম’দ’, রমরমিয়ে চোলাই কারবারি চলছে রাজ্যে

বর্তমান যুগে তো জামাকাপড় থেকে শুরু করে নানান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, শাকসবজি, খাবারদাবার সবই পাওয়া যায় ঘরে বসেই। ফোনে অর্ডার করলেই হোম ডেলিভারি। শহরেই শুধু নয়, এখন অনেক গ্রামের দিকেও এই পরিষেবা চালু হয়েছে।
কিছুদিন আগেই খবর মিলেছিল যে ১০ মিনিটেই হোম ডেলিভারি হবে বিলিতি ম’দের। তাহলে দেশী ম’দই বা পিছিয়ে কেন থাকবে! নবগ্রাম এলাকায় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় চলছে চোলাই ম’দের হোম ডেলিভারি। একটা মাত্র ফোন, তারপরই বাড়িতে এসে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে চোলাই ম’দ।
তবে পুলিশও নজরদারি রেখেছে বটে। কিন্তু তাও পুলিশের নজর এড়িয়ে কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও সাইকেল বা মোটরবাইকে চেপে ঘরে ঘরে ডেলিভারি করা হচ্ছে চোলাই ম’দ। পুলিশি সন্দেহ এড়াতে আবার মাঝেমধ্যে নানান ছদ্মবেশ নিয়ে ভাঙাচোরা জিনিসপত্রের ফেরিওয়ালা সেজেও চলছে চোলাইয়ের হোম ডেলিভারি।
তবে চোলাই ব্যবসায়ীরা যেমন কৌশল বাড়াচ্ছে, পুলিশও আরও তৎপর হচ্ছে। জানা গিয়েছে, গত এক মাসে বেশ কয়েকটি ভাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েকশো লিটার চোলাই মদও উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কয়েক মাস ধরে এই পুলিশি অভিযানের ফলেই চোলাই কারবারে খানিক মন্দা আসে। তা টিকিয়ে রাখতেই এই হোম ডেলিভারি শুরু।
জানা গিয়েছে, চোলাই ব্যবসায়ীরা নিজেদের ভাটিখানাও ঘনঘন পরিবর্তন করছে। কখনও জঙ্গলে ঘেরা কোনও জায়গায় তো আবার কখনও বা নদীর চরে অস্থায়ী ভাটিখানা বানিয়ে তৈরি হচ্ছে চোলাই ম’দ। এরপর যারা ফোনে তা অর্ডার করছেন, তাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে চোলাই।
নবগ্রাম থানার পুলিশ জানাচ্ছে যে স্থানীয় নানান সূত্র কাজে লাগিয়ে প্রতিদিনই তারা অভিযান চালাচ্ছেন। চোলাই নষ্ট করা থেকে শুরু করে ভাটিখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া, কারবারিদের ধরপাকড় চলছে। পুলিশের মতে, নবগ্রাম থানা এলাকায় চোলাই কারবারে ভালোই রাশ টানা যাচ্ছে।