দলের মতো দলীয় নেতাও যেন ঝিমিয়ে! তাত্ত্বিক আলোচনায় আর মন নেই, রাজ্য সম্মেলন চলাকালীন ঘুমিয়েই পড়লেন সিপিএম নেতা

খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থ, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব, শ্রেণী সাম্য, এসব শুনতে শুনতে জনসাধারণ তো ক্লান্তই, তবে এবার যেন মনে হচ্ছে সিপিএম নেতারাও এসবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাত্ত্বিক আলোচনায় আর কোনও মন নেই। এই কারণেই বোধ হয় রাজ্য সম্মেলনের আলোচনা চলাকালীনই ঘুমে ঢলে পড়লেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা। সেই ছবি এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিপিআইএম নেতা বলেন, “এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কত বছর আর একই জিনিসের চর্বিতচর্বন হজম করা যায়। বরং এখন উচিত দলের বৃদ্ধতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে নতুন প্রজন্মের উপর সংগঠনের ভার ছেড়ে দেওয়া। শূন্যের নীচে তো আর কিছু হয় না। এখন তো আমরা শূন্যই। সেখানে নতুন প্রজন্মের নেতা–নেত্রীরা ভুল করুক, ঠিক করুক শূন্যের নীচে তো নামাতে পারবে না। সেটা করলেই তো হয়। তাহলে ঘুমও পাবে না”।
২০১১ সাল কার্যত হেরেই আসছে সিপিএম। স্বাধীনতার পর এটাই এ রাজ্যে বামেদের সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি। সংগঠন একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর একথা রাজ্য সম্মেলনের প্রথমদিনেই কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিনের এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু–সহ পলিটব্যুরোর সাত সদস্য। সম্মেলনের মূল আলোচনার বিষয় হল দলে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে! কিন্তু এরই মধ্যে সিপিএম নেতার দিব্যি দিবানিদ্রা দেওয়ার ছবিট ভাইরাল হল।
ভাইরাল হওয়া এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে সিপিএমের যে রাজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে, তাতে এক সদস্য পোডিয়ামে নিজের বক্তব্য রাখছেন। পিছনে অনেকেই তা শুনতে ইচ্ছুক, অনেকেই নন। কেউ কেউ ব্যস্ত নিজের ফোন নিয়ে। আর এরই মধ্যে সিটুর সাধারণ সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য তপন সেনকে দেখা গেল তিনি নিশ্চিন্তে ঘুম দিচ্ছেন।
তপন সেনের থেকে কিছু দূরেই দেখা মিলল কৃষক নেতা হান্নান মোল্লার। তাঁর অঙ্গভঙ্গি দেখেও স্পষ্ট যে তিনি ক্লান্ত। বিমান বসু মাথা নিচু করে বসে রয়েছেন। এই নিদ্রামগ্ন দলকে ঠেলে উঠিয়ে ফের কী আদৌ দাঁড় করানো সম্ভব, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল বেশ সন্দিহান।